Category: Bengali
পোড়ো বাড়ি
পোড়ো বাড়ি ।। সূচিতা দাস পোড়ো বাড়ির মতো পরিত্যক্ত জীবন,আগাছায় ভরা মনটা যখন,নিজেই নিজের কাছে অচেনা এখন,ঝলমলে রোদ্দুর ঢোকেনি বহুদিন-অযত্নে বাড়িটি বড়ই মূল্যহীন,জমে আছে সুখস্মৃতি ফাটলের ফাঁকে-ধুলোপড়া অতীতেরা আজ ও কেন ডাকে, বাড়িটির বুক-চিরেগাছেরা মাথা তুলে,যন্ত্রণার আর্তনাদ আকাশে বাতাসে,পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি রয়েছে পড়ে-কেউ আর ওপথে যায় না ভুলে…।
মনখারাপগুলো
মনখারাপগুলো ।। পঙ্কজ মনখারাপগুলো থিতিয়ে পড়েছে কিছুটা,কাল ও পরশু নামবে কিছুটা আরো,হঠাৎই একদিন না জানিয়েমিশে যাবে রক্তের প্রবাহে।কখনো বা ফিরে আসবেএকলা মুহূর্তে দোসর হয়ে,কিংবা ভিড়ের মাঝে একলা করতে,কিংবা হয়ে যাবে খোয়া যাওয়া হাওয়া।পথ ভুলে যাওয়াটাও জীবনের নাম,আরেকটি পথের খোঁজেপুরোনো পথ ভোলাটাই সহজ ও স্বাভাবিক।
পারুল দিদি
পারুল দিদি ।। লেখা : সুমা আইচ হাজরা হঠাৎ করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল,পারুল দিদি,কী করে সব বদলে দিয়েছিলে তুমি,আমার জীবনের রেখা,তোমার সীমান্ত রেখা ধরে।আমার ছেলে বেলার সবচেয়ে কাছের সাথী ছিলে তুমি।কোঁকড়ানো কালো চুলের রাশিতে,আর টানা অথচ মায়াবী চোখের তারায়,তুমি ছিলে আমার ভালবাসার জীবন্ত প্রতিমা।তোমাকে ঘিরে কত শত ব্যাকুলতা…
যাযাবরের স্বগতোক্তি- পর্ব: 2
সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি, এসব পুজো-ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে! এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায়।
আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল, দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব। আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা-মেয়ের খুনসুটিতে। এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক, উদযাপনের আতিশয্যেই।
সেদিনও বৃষ্টি ছিল
সেদিনও বৃষ্টি ছিল ।। প্রলয় দাস সেদিনের মতো আজও আকাশে জমেছে, কেবল বিন্দু বিন্দু মেঘ।আর এদিকে একটি মনের ভেতর চলছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি,চোখে জল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে, তীরতীর করে হৃদপিন্ডে হচ্ছে আমোঘ এক গর্জন, টিনের চালে ঝুম বৃষ্টির শব্দ।থেকে থেকে বুকের ভেতর উথলে উঠছে ঢেউ,দেখতে পাচ্ছি বাড়ির পাশের গাছের ডালে বসে…
মিথ্যার জঠরে
মিথ্যার জঠরে ।। বিদ্যুৎ রাজগুরু মোহনদের গাঁয়ে হাট বসে সপ্তাহে দুদিন, সোমবার আর শুক্রবার। এই দুদিন এলাকার কৃষিজীবী পরিবারগুলি হাটে তাদের উৎপাদিত শাকসবজি শস্য নিয়ে হাজির হয়। মোহন এই গাঁয়ের একজন দিনমজুর। কিছুটা খেতিজমিও আছে। মোহনরা চার ভাই। একসময় একান্নবর্তী পরিবার ছিল। হৈ-হুল্লোড় করে সুখ-দুঃখকে সাথী করে বেশ দিন কাটত।…
দোলাচল
দোলাচল ।। তুলসী কর্মকার বাবাকে জিজ্ঞাসা করি এত বই কেন?পড়ে দেখলে কী হয়?বাবা বলেন, অভিব্যক্তি রাখা আছে।সত্যের সন্ধানে ব্যক্তিগত স্প্রিংপ্রকৃত সত্যি একপ্রকার নির্লজ্জস্থিস্তিস্থাপক ধর্মের ভিতে লুক্কাইত।যাঁরা পুল ধরে টানেন তাঁরা টের পানকেন পৃথিবীতে প্রত্যেকদিন সকাল হয়,মাঝে মাঝে জল ঝড়শীত কখনো গরম।যাঁরা এসবের ধার ধারেন নাতাঁরাও উপভোগ করেন,গনগনে আগুনে হাত সেঁকেন,ভাত…