Category: Full Site

পরম্পরা ।। লেখা : শ্রেয়া বাগচী আজ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে উদ্বোধন হ’ল। থুড়ি, উদ্বোধন না ওপেনিং হ’ল ‘সিটি কাফে’র। বেলুন সাজিয়ে, বেলুন ফাটিয়ে, কেক কেটে, মাথায় টুপি পরে, বেশ একটা আনন্দ অনুষ্ঠান হ’ল আজ। আর যাঁরা লাকি কাস্টমার আছেন তাঁরা যে কোনো কেনাকাটায় টোয়েন্টি পার্সেন্ট ছাড় পেলেন । তা বিক্রি…

প্রথম প্রেম ।। লেখা – সৌমিতা চক্রবর্তী ঘাসের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা আমার প্রথম প্রেম-সূর্যাস্তের তখনও কিছু বাকি, যখন মনে হল সেই প্রেম খুঁজে দেখি।নিযুত বছর বুকের ভেতর খিল আঁটা এক বৃষ্টিভেজা দুপুর-উঠোন জুড়ে ‘আজ’ ছড়িয়ে যখন, তখন মনে হয় সেই দুপুরের কাছে গিয়ে বসি।আকাশকুসুম মুখচোরা আবেগ সাহস করে একদিন বলেই…

সিঁদুর ।। লেখা : রুমি বন্দ্যোপাধ্যায় সিঁদুর রুমি বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বছর হল ললিতার স্বামী হঠাৎই গত হলেন। সময়টাও তাই আর আগের মত তেমন অনুরাগ প্রিয় রইল না। লাল রং বড় পছন্দের ছিল তাঁর। এই‌ বয়েস‌ও এক মাথা সিঁদুর পড়তেন তিনি, সাথে একটা বড় টিপ। স্বামী মারা যাওয়ার পর তার সেগুন কাঠের…

একটি নৌকার আত্মকথা লেখা – শুভ্রাংশু কুম্ভকার তিনকুল বলে কিছু নেই,শুধু দুই কূলই আমার গন্তব্য।নিত‍্য যাতায়াতের সঙ্গীরা আত্মার আত্মীয়।সাক্ষী থাকি কথা, হাসি, গল্পের আসরে।বিশ্রাম পোষায় না কোনো কালে,আনন্দ খুঁজে চলি নদীর বুকের ছায়ায়,আকাশের লালে,জল চিকচিক করা তরঙ্গের তালে।গোধূলি আলোয়, বেলা শেষের ক্ষণে,ঘরে ফেরা যাত্রীদের গানে,সন্ধ্যার নরম অন্ধকার নামে পৃথিবীর কোলে।আমার…

আত্মকথা :: লেখা – দেবশ্রী আমি নাকি তিতাস নদী ছিলাম,শান্ত,স্নিগ্ধ, নরম কথা বলা।মাঝে মধ্যে উঠত বুকে ঢেউ,পাথর ভেঙে হ’ত তবু চলা। ছিল সেথা ছোট্ট একটি পাখি,গা ভেজানো ছিল যে তার খেলা।তার মিষ্টি গানে জুড়ে নদীর তানকেটে যেত তিতাস নদীর বেলা। নাই তো সেথা শব্দমুখর ব্যস্ত জনজীবন,সবুজ জলে স্বর্গ খেলা আর…

ত্রিদিব কাঁধের ব্যাগ রেখে তাকিয়ে থাকে স্নিগ্ধার দিকে। মনে মনে ভাবে স্নিগ্ধাকে ছেড়ে যাওয়া অপরাধ হবে। স্বেচ্ছায় নিজের হাত এগিয়ে দেয় স্নিগ্ধার দিকে।

জন্মদাগশঙ্কা ।। সঞ্চালিকা আচার্য নাড়ি ছিঁড়ে প্রসব করেছি যা, সে তো এক শরীর-ই।আমি কি এমন জাদুকরী মাটি দিতে পারি,যার পোষণে সে হবে দৃঢ়মূল?তাকে কখনো রেখেছি আদুল,আবার কখনো আদুরে বেড়ায় ঢেকে;যাতে জীবন চিনে নেয় আকাশ ও পাতাল দুইয়েরই আঙ্গিকে। তার ও পরে ভয় হয় যদি কোনো জিনগত শিথিল মনন,বৃদ্ধি ব্যাহত ক’রে…

পোড়ো বাড়ি ।। সূচিতা দাস পোড়ো বাড়ির মতো  পরিত্যক্ত জীবন,আগাছায় ভরা মনটা যখন,নিজেই নিজের কাছে অচেনা এখন,ঝলমলে রোদ্দুর ঢোকেনি বহুদিন-অযত্নে বাড়িটি বড়ই মূল্যহীন,জমে আছে সুখস্মৃতি ফাটলের ফাঁকে-ধুলোপড়া অতীতেরা আজ ও কেন ডাকে, বাড়িটির বুক-চিরেগাছেরা মাথা তুলে,যন্ত্রণার আর্তনাদ আকাশে বাতাসে,পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি রয়েছে পড়ে-কেউ আর ওপথে যায় না ভুলে…।

Croco moved back towards the pond & started disappearing in the water. Nini & Joe waved their legs, tail & head & shouted loudly “Thank you & good bye Croco. We love you”. Croco winked at them & replied “be careful while playing my lovely babies”.

অন্যঘর ।। অভি প্রতি রাতে থাকতে আমি চাই,জলভেজা ওই চোখের পাতায়,গল্প গুলোর দিতে গিয়ে খোঁজহারিয়ে ফেলি ঠিকানা তোর রোজ।ছেঁড়া খাতায় লেখা যে তোর নামআমার কাছে বড্ড বেশি দাম।বলতে পারিস একঘেয়েমি আমিকেন যে রোজ তোর বাড়িতেই থামি !তোর ছাদে যে রোদটা এসে পড়েযোগায় আলো আমার খেলা ঘরে।ভালো থাকিস, আর কিছু তো…

মনখারাপগুলো ।। পঙ্কজ মনখারাপগুলো থিতিয়ে পড়েছে কিছুটা,কাল ও পরশু নামবে কিছুটা আরো,হঠাৎই একদিন না জানিয়েমিশে যাবে রক্তের প্রবাহে।কখনো বা ফিরে আসবেএকলা মুহূর্তে দোসর হয়ে,কিংবা ভিড়ের মাঝে একলা করতে,কিংবা হয়ে যাবে খোয়া যাওয়া হাওয়া।পথ ভুলে যাওয়াটাও জীবনের নাম,আরেকটি পথের খোঁজেপুরোনো পথ ভোলাটাই সহজ ও স্বাভাবিক।

বোকা গাধা ।। নিকোলাস বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের সবচেয়ে বোকা জন্তু হল গাধা। তো একদিন সকাল সকাল শিয়াল, হনুমান, গন্ডার, চিতা সবাই একটা বড় বট গাছের তলায় বসে, গল্প করছিল। এমন সময়ে সেখানে হাজির হল বোকা গাধা। সবাই মিলে ভাবল ওর সাথে একটু মজা করা যাক।গন্ডার বলল, “ভাই গাধা, যে যাই বলুক,…

SEEKING YOU ।। Paromita Manna Where have you been?When the heart wept not knowing why,When the innumerable nights passed bycounting the stars,And only Heaven witnessed a forlorn soulwith bareness all around.Sleeping in the arms of the nightI sought someone with heavy sighs,My saviour who would be andbless me with salvation.Alas!…

পারুল দিদি ।। লেখা : সুমা আইচ হাজরা হঠাৎ করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল,পারুল দিদি,কী করে সব বদলে দিয়েছিলে তুমি,আমার জীবনের রেখা,তোমার সীমান্ত রেখা ধরে।আমার ছেলে বেলার সবচেয়ে কাছের সাথী ছিলে তুমি।কোঁকড়ানো কালো চুলের রাশিতে,আর টানা অথচ মায়াবী চোখের তারায়,তুমি ছিলে আমার ভালবাসার জীবন্ত প্রতিমা।তোমাকে ঘিরে কত শত ব্যাকুলতা…

সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি, এসব পুজো-ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে! এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায়।
আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল, দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব। আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা-মেয়ের খুনসুটিতে। এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক, উদযাপনের আতিশয্যেই।