ছেলেটা গাছ ভালোবাসতো। ছোটো থেকে যেখানে যত বীজ পেতো, নিয়ে এসে পুঁততো তার বাগানে। বাগান বলতে তার ছয় বাই চারের বারান্দা, পাখি এসে না বসতে পারলেও ছেলেটার প্রাণ লুকিয়ে থাকতো গাছগুলোর কোটরে। মন খারাপ আনন্দ অভিযোগ সব মন দিয়ে শুনতো ওর হাতে বড় হওয়া গাছগুলো।
ছেলেটা বড় হওয়ার সাথে সাথে বড় হলো গাছগুলোও। এক জায়গায় থেমে থাকা প্রাণ বিজ্ঞানসম্মতভাবে জীবিত হলেও তাকে সবাই মৃত ভাবে, কিন্তু ছেলেটা ভাবতো না। ছেলেটা গাছগুলোর মতো হতে চাইতো। তাদের মত সজীব, সতেজ, যার পাতায় পাতায় ঠান্ডা হাওয়া এসে আদর করে যায়। ছেলেটা অন্য সবার মতো হতে চাইতো না, শুধু গাছ হতে চাইতো, সবুজ হতে চাইতো, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আকাশ ছুঁতে চাইতো।
একদিন তার বারান্দা পুরোনো হলো, গাছ পুরোনো হলো, সে নিজেও। পৃথিবী চলতে চলতে আটকে গেলো তার বাগানে, গাছের ডাল কাটা পড়লো, পাতা ঝরে গেলো। ছেলেটা গাছের মতোই দাঁড়িয়ে থাকলো এক জায়গায়, একে একে মানুষ এসে তাকে তুলে নিলো কাঁধে, তার প্রিয় গাছগুলো ছেলেটার সঙ্গেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।
লেখাঃ সঙ্কর্ষণ
ছবিঃ কুণাল
Pran | Sankarshan | Kunal | www.pandulipi.net | Bengali | Fiction | Story |
[quads id=1]