সারপ্রাইজ

গল্প:সারপ্রাইজ ।। কলমে:পীযূষ বসু চৌধুরী

সুমন আর দেবাংশী অফিস থেকে একসঙ্গেই ফেরে। গেটের দরজা চাবি দিয়ে খুলতে খুলতে দেবাংশী বলে, “আজও তোমার বাবা এত রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে, ফটিক কাকা আর সেই চিরকুমার অসিতের সাথে। সত্যি, একটা হ্যান্ডসাম ছেলে, ওই বয়স্ক মানুষ দুটোর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে যে কি মজা পায় তা কে জানে!”সুমন রাগত স্বরে বলে, “চুপ করো তো। না জেনে একটা ছেলের সমন্ধে কিছু বোলো না। ও আমার দিদির সাথে পড়ত। ওদের ক্লাসের প্রতিবারের ফাস্ট বয়। খুব ভালো ছেলে। দিদির বিয়েটা মা তার বান্ধবীর ছেলের সাথে না দিলে ওকে আর চিরকুমার থাকতে হত না। যাক্, এখন ওসব কথা ছাড়ো, একটু কফি বানিয়ে নাও।”হাত মুখ ধুয়ে দেবাংশী কফির জলটা বসিয়ে দিল। রান্না ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলে, “ সুমন, তোমার বাবার জন্যও বসাব নাকি?”সুমন চেঁচিয়ে বলে, “বসিয়ে রাখো, এর মধ্যে যদি এসে পড়ে।”দেবাংশী ফ্রিজ খুলে চেঁচিয়ে ওঠে, “সুমন দেখে যাও! ফ্রিজে তো কিছু রান্না করাই নেই।”সুমন হাত ফোনটা বিছানার উপর রেখে উঠে রান্না ঘরের দিকে ছুটে যায়। দরজায় দাঁড়িয়ে বলে, সে কী! তাহলে কি ইরাদি আজ আসেইনি। তাহলে বাবা, বাবা কী খেল। তুমি কফিটা বানাও তো, আমি ইরাদিকে একটা ফোন করে দেখি।”ইরাদি ফোনটা ধরেই বলে, “হ্যাঁ দাদাবাবু, আমি আজ দুবার তোমাদের বাড়ি গিয়ে গেটের দরজা বন্ধ দেখে ফিরে এসেছি। বড়বাবুকে একবারও পাইনি।”সুমন শুধু বলে, “ওহ্, ঠিক আছে। তুমি কাল সকালে এসো কিন্তু।”সুমন মনে মনে বলে তাহলে বাবা কোথায়? বাবা কি চায়ের দোকানে। দেবাংশী কফির কাপ নিয়ে এসে বলে, “কী হল? নাও কফিটা খেয়ে নাও। রাতের খাবারটা অর্ডার করে আনিয়ে নাও।”সুমন একটু গলা উচু করে বলে, “দাঁড়াও, অর্ডার টর্ডার রাখো। বাবা তাহলে কোথায় গেলেন? আমি এখুনি শিবুর চায়ের দোকানে যাচ্ছি। তুমি রাতের খাবারটা অর্ডার করে দিও।”সুমন পাঞ্জাবিটা গায়ে চাপিয়ে বলে বাবার ফোনটা বলছে সুইচড অফ, বাবা কতবার ফোনে একটা নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে দিতে বলেছিল। আমার আর সময় হয়ে ওঠেনি।দেবাংশী সুমনকে বলে, “কফিটা দু’-চুমুক খেয়ে নাও।”সুমন হাতের কাপটা নামিয়ে পায়ে চটিটা গলিয়ে বেরিয়ে পড়ে। শিবুর চায়ের দোকানে এসে দেখে শিবুর দোকান বন্ধ। রাস্তার আলো পড়ছে শিবুর চায়ের দোকানের বন্ধ দরজার ওপর। দরজায় দুটো বড় তালা ঝুলছে। শিবু ভেতরে নেই। সুমন দু’বার ডেকে ওঠে, “শিবু, এই শিবু।” ভেতর থেকে কোন উত্তর আসে না। ভেতরে তো কোন আলোও দেখা যাচ্ছে না। শিবুর ছেলে আর বৌ বাপের বাড়িতে থাকে। শিবুর স্ত্রী একটা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা, শিবুর ছেলেও তার মায়ের সাথে থাকে। তবে কি শিবু, ছেলের কাছে গিয়েছে। সুমন বাবার খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।দেবাংশী রাতের খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে পেপারটা উল্টেপাল্টে দেখছিল।কলিং বেল বাজতেই সুমন ছুটে যায় দরজা খুলতে। সুমন ভেবেছিল বাবা এসেছে, ডেলিভারি বয়টা এসে খাবার প্যাকেটটা নামিয়ে দেয়। সুমন প্যাকেটটা ধরে ঘরে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখে।দেবাংশী বলে, “আচ্ছা সুমন, তোমার বাবা আবার তোমার দিদির বাড়ি খড়গপুর চলে গেল না তো?” সুমন ঠোঁট বেঁকিয়ে বলে, “কী করে বলি বল তো? এখন এত রাতে দিদিকে ফোন করলে দিদি অস্হির হয়ে পড়বে আর রেগে যাবে। বাবা খড়গপুর গেলে দিদি নিশ্চয় ফোন করে জানাত। আর কোথায় যেতে পারে? এত রাতে বাবা তো বাড়ির বাইরে থাকে না। তারপর দুপুরে কী খেল না খেল কে জানে। আর ভালো লাগছে না। এই শীতের রাতে কোথায় খুঁজতে যাব বল তো। একটা ফোন করে তো আমাকে জানাতে পারত।”দেবাংশী পেপারটা টেবিলে রেখে বলে, “সত্যি তোমার বাবা পারে বটে। এই বয়সে যে কোথায় চলে গেলো কে জানে। ছেলে বৌকে একবার বলাও প্রয়োজন মনে করল না। আচ্ছা, ঘরের কোথাও কিছু লিখে টিখে রাখেনি তো। দেখো না বাবার ঘরের বিছানা আর বালিশের নিচটা একবার। আমাদের ওপর রাগ করে বৃদ্ধাশ্রমে চলে গেলো না তো?”সুমন মাথা ঝাঁকিয়ে বলে, “না না, কালকেও বাবার সাথে আমার কথা হল। বাবা গ্রাচুয়েটির অনেক টাকা পেয়েছে, তাই বাবা এবার বড় করে দিদির জন্মদিন এ বাড়িতেই করবে। সব ব্যবস্থা নিজেই করছে। আর বাবা কাউকে কিছু না বলে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবে, এটা হতেই পারে না।”দেবাংশী বলে, “আচ্ছা, তুমি তো শুধু শিবুর খোঁজ নিলে, বাদ বাকি আর দু’জনের কোন খোঁজ তো নিলে না।” সুমন বাবার ঘর থেকে বেরোতে বেরোতে বলে, “তুমি কাদের কথা বলছ?”দেবাংশী বলে, “কেন? তোমার ফটিক কাকাবাবু আর চিরকুমার অসিতের কথা বলছি। তবে তার তো আবার নাইট ডিউটিও থাকে। আমার মনে হয় ওদের বাড়িতে একবার খোঁজ করে দেখো। কোন খবর না পেলে, সামনের থানাতে সেকেন্ড অফিসার দত্ত তো তোমার পরিচিত, ওর সাথে একবার কথা বলে দেখো কী বলে।”সুমন পাঞ্জাবির ওপর সোয়েটারটা চাপিয়ে বেরিয়ে পরল। রাত প্রায় দশটা, শীতের রাত রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে, ঘন কুয়াশায় চারিদিক ছেয়ে আছে। হেঁটে হেঁটে ফটিককাকার বাড়ির গেটের দরজা খুলতেই নিচের ভাড়াটিয়া মহিলা উচু গলায় বলে উঠলেন, “কে, এত রাতে? কাকে চাইছেন?”সুমন ভয়ে ভয়ে বলে, “আমি সুমন, ফটিক কাকার সাথে দেখা করতে এসেছি।” আবছা আলোয় সুমন দেখতে পেল ফটিক কাকার দরজার বাইরের দিকে তালা ঝুলছে, দোতলার ঘরের আলোও তো জ্বলছে না। তাহলে ফটিককাকা কোথায় গেলেন? কাছাকাছি তো ফটিক কাকার কোন আত্মীয় থাকেন বলে তো জানা নেই। তাহলে অসিতদার বাড়িতে একবার খোঁজ করলে হত। কিন্তু অসিতদার তো নাইট ডিউটিও থাকতে পারে। তাহলে একবার সেকেন্ড অফিসার দত্তের সাথে দেখা করতেই হবে। যদি উনি কোন কিছু একটা সুরাহা করতে পারেন। অসিতের দরজা বন্ধ দেখে সুমন পুলিশ স্টেশনে আসতেই সেকেন্ড অফিসার দত্তের সাথে দেখা হয়ে গেল। সব শুনে দত্ত বলল, “তোমার বাবার মোবাইল নম্বরটা কোথায় আছে সেটা একবার ট্রেস করে দেখতে হবে।” কিছুক্ষন পরে একটা ফোন আসতেই দত্ত ফোনটা রিসিভ করে বলে, “ওনার ফোন নম্বরটা সব শেষ দেখা যাচ্ছে হাওড়া স্টেশনে সকাল নটা দশ মিনিটে। তোমাদের কোন আত্মীয় স্বজন কি ওদিকে থাকেন? তাহলে তাদের সাথে একটু যোগাযোগ করে দেখতে পারো। তারপর কাল সকালে না হয় একটা কিছু করা যাবে। সুমন তোমার ফোন নম্বরটা দাও তো। কোন খোঁজ পেলে তোমাকে জানাতে পারব।” সুমন ভয়ে ভয়ে দত্তকে ফোন নম্বরটা দিতেই দত্ত একটা মিস কল দিয়ে নম্বরটা কনফার্ম করে নিল। সুমন রাস্তায় বেরিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াল। বাড়িতে ফিরতেই দেবাংশী সুমনকে জিজ্ঞেস করল,“কী গো, বাবার কোন খবর পেলে?”সুমন মুখে কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে চেয়ারে বসে পড়ে। দেবাংশী অর্ডার দেওয়া খাবার বেড়ে নিয়ে বলে, “সুমন হাতটা ধুয়ে একটু কিছু মুখে দিয়ে নাও।”সুমন অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাত ধুয়ে খেতে বসল। দেবাংশী খাবার প্লেটে বাড়তে বাড়তে বলে, “আচ্ছা দত্তবাবু কি কিছু বললেন?”সুমন খাবার মুখে দিতে দিতে বলে, “না। সেরকম কিছু না, ফটিক কাকাকে বাড়ি পেলাম না, অসিতদার বাড়িতে লাইট জ্বলছে না, তবে অসিতদা ডিউটিতে যেতেই পারেন। তবে একটা ভালো খবর, দত্ত বলল বাবার মোবাইলটা সকাল নটা দশ মিনিটে হাওড়ায় ছিল। বাবা দিদির বাড়ি গেল না তো?”দেবাংশী খাবার মুখে তুলতে তুলতে বলে, “না না, তা হলে দিদি নিশ্চয় ফোন করে আমাদের জানাত।”সুমন দু-তিন গাল খেয়ে আর খেতে পারল না, খাবার ছেড়ে উঠে পড়ল। দেবাংশী থালা গুছাতে গুছাতে বলে, “রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। একবার দিদিকে একটা ফোন করে দেখো না, বাবা ওখানে গিয়ে থাকলে, দিদি যদি নিজের থেকে কিছু বলে ফেলেন। তা নাহলে তুমি নিজের থেকে বলে এত রাতে দিদিকে আর টেনশনে ফেলো না।” সুমন ইজি চেয়ারে বসে মোবাইলটা নিয়ে বাবার ফোন নম্বরটায় ফোন করল। কিন্তু ওপাশ থেকে একই উত্তর আসে সুইচড অফ।ফোনটা টেবিলের উপর নামিয়ে রেখে বলে, “না, বাবার ফোনটা সুইচড অফই বলছে।” সুমন টেবিল থেকে ফোনটা তুলে নিয়ে দিদি সুমিকে ফোনটা করতে যাচ্ছিল। তার আগেই ওপাশ থেকে একটা আননোন নাম্বারে ফোন আসে। ফোন নম্বরটা দেখেই সুমনের বুকটা ধড়াস করে ওঠে। এটা আবার কার ফোন নম্বর? সুমন নিজের অজান্তেই বলে, “হ্যালো, কে বলছেন।ওপাশ থেকে বলে, “সুমন আমি রে, তোর বাবা।”সুমন চিৎকার করে বলে, “বাবা! তুমি, তুমি কোথায় বাবা? আমরা এখানে কত চিন্তা করছি বলো তো। তুমি ভালো আছ তো? এটা কার ফোন নাম্বার? তোমার ফোনটা বন্ধ কেন?”ওপাশ থেকে রনেনবাবু বলেন, “কোন‌ও চিন্তা করিস না বাবা। এ ফোনটা অসিতের। আমার ফোনটার ব্যাটারিটা নষ্ট হয়ে গেছে। তোকে কতবার বলেছিলাম ফোনটায় চার্জ থাকে না। তারপর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় চার্জারটা আনতে ভুলে গেছি। আমার মোবাইলে অন্যদের চার্জার লাগছে না। তাই চার্জ দিতে পারছি না রে। তাই মোবাইলটা অফ হয়ে গেছে। তোকে মোবাইলের একটা ব্যাটারি এনে দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তোদের তো সময়ই হল না। তোর বা বৌমার কারো নম্বরই আমার মুখস্থ নেই। তাই ফোন করতে পারিনি। অসিত এখন তোর ফেসবুক থেকে তোর ফোন নম্বর জোগাড় করে ওর ফোন থেকে ফোনটা ধরিয়ে দিল।” সুমন আর ধৈর্য্ রাখতে পারে না, বলে, “আচ্ছা তুমি এখন কোথায় আছ বলো তো।”রনেন বাবু বলেন, “আরে, কোন চিন্তা করিস না। আমি, তোর ফটিক কাকা, অসিত আর শিবু আজ সকালে দীঘাতে ঘুরতে এসেছি। অসিতের বন্ধুর হোটেলে, রাজার হালে রয়েছি। আমরা একঘরে চার জনে। আড্ডা মেরে কাটাচ্ছি। একদম বাড়ির মতো। অসিতকে বলেছিলাম টাকা নেওয়ার জন্য, কিন্তু ও বলল, বন্ধু যদি টাকা নেয় তবে নেবে। আমরা রোববার দুপুরে ফিরে আসব। ট্রেনের ভাড়াটাও লাগেনি। শিবু খুব আনন্দ পেয়েছে। বেচারা কোনদিন কোথাও ঘুরতে যায়নি তো। তবে বৌ আর ছেলের জন্য ওর মনটা খারাপ লাগছিল।”সুমন ইজি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে , “তুমি তো বাবা আমাদের বলে গেলেই আমাদের এত চিন্তা করতে হত না।”রনেন বাবু বলেন, “গত সপ্তাহে তোরা যখন মন্দারমনি থেকে ফিরছিলি তখন আমরা চায়ের দোকানে বসে বসে প্লান করে ফেলেছিলাম। তবে অসিত কিন্তু রাজি হয়নি, আমার এভাবে বাড়িতে কিছু না বলে আসাটা। আমি প্রায় জোর করে ওকে রাজি করাই। তবে বাবা খুব মজা করছি সবাই মিলে সমুদ্রের পাড়ে বসে বসে, বয়সটা যেন কমে গেছে। ছোটবেলায় কোন সুযোগ হয়নি তো। চাকরি করতে গিয়ে তো ছুটি-ছাটা পাইনি। তাছাড়া তখন এতো সুযোগ-সুবিধাও ছিল না। তারপর বাবা-মাকে দেখাশোনা, সঙ্গে তোর দিদি আর তোর স্কুল, কলেজ আর মাষ্টারদের টাকা জোগাড় করতে করতে কখন যে বয়সটা হয়ে গেল বুঝতেও পারি না। যখন বুঝতে পারলাম তখন দেখলাম আর সময় নেই। হঠাৎ তোর মাকে হারিয়ে সাথীহারা হয়ে পরলাম। এখন তোরা দুজনে এতো ব্যস্ত থাকিস যে আমাকে তোরাও সময় দিতে পারিস না। আর তোদের সাথে তো আমি ঘুরতে যেতে পারি না। তাছাড়া আমার আর ফটিক কাকার তো বয়স হয়ে যাচ্ছে, আর কতদিনই বা পারব? তাই বেরিয়ে পড়লাম তোদের কিছু না বলেই। জানি, তোদের বললে তোরা না বলতিস, বাধা দিতিহ। তাই তোদের না জানিয়ে চলে এসেছি। ফোনটা যে বেইমানি করবে বুঝতে পারিনি। বৌমাকে চিন্তা করতে মানা করিস আর সুমিকে কিছু বলিস না। আর কত দিনই বা বাচঁব তাই একটু আনন্দ করে বাকি জীবনটা কাটাতে চাই বাবা। তোরা রাগ করিস না।” সুমন আর কিছু বলতে পারে না। গলার স্বর রুদ্ধ হয়ে আসে। চোখদুটো ছলছল করে ওঠে। শুধু বলে, “তুমি সাবধানে থেকো বাবা। বারবার চা খেও না। সময়মতো খাওয়া দাওয়া কোরো।”দেবাংশী রান্না ঘরের থেকে বেরিয়ে বলে, “যাক বাবা, একটা চিন্তার থেকে মুক্তি পাওয়া গেল। তুমি দত্তবাবুকে একটা ফোন করে বলে দাও। কারন উনিও একটা চিন্তার থেকে মুক্তি পাবেন।”সুমন ফোনটা হাতে নিতে নিতে বলে, “এটা আমাদেরই ভুল। এরপর থেকে আমাদেরও বাবাকে একটু সময় দিতে হবে। দিনের শেষে বাবার সাথে বসে কিছু সময় কাটাতে হবে। মা চলে যাবার পর থেকে বাবা একদম একা হয়ে পরেছে। অনেকদিন যাবৎ বাবার মোবাইলের ব্যাটারিটা নষ্ট হয়ে গেছে। সেটা কিনে দেওয়ার সময়ও আমাদের হয়নি। ব্যাটারিটা কিনে দিলে হয়তো আজ এই ঘটনাটা ঘটত না।”সুমন ল্যাপটপটা খুলে অনলাইনে বাবার জন্য একটা ভালো মোবাইলের অর্ডার দিয়ে রাখল। রোববার বাবাকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে ভেবে মনটা খুশিতে ভরে উঠল।

Author: admin_plipi