জীবনের শিক্ষা ।। লেখা : প্রসেনজিৎ দত্ত
একদা একদেশে এক চাষী তার দুই ছেলেকে নিয়ে শান্তিতে বাস করত। চাষী ছিল কর্মঠ। মনের জোরে সব কাজ সে একাই করত। সংসারে সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দুই ছেলেকে মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছিল। সারাদিন মাঠে হাড়ভাঙা খাটুনির পর প্রতি বছর সোনার ফসলঘরে তুলতো। এইভাবে বছর গুলো ধীরে ধীরে কাটতে থাকে। চাষীর বয়স বাড়তে থাকে সময়ের সাথে। তখন তার মনে একটাই চিন্তা। ছেলেদের কীভাবে সাবলম্বী করা যায়। তার দুই ছেলে ছিলো স্বভাবে একে অপরের থেকে আলাদা। বৃদ্ধ চাষী ঠিক করলো, তাদের জীবনের শিক্ষা দিতে হবে। সুযোগ বুঝে একদিন ছেলেদের ডাকলেন। বললেন, বাড়ির কাছে যে দুটি অনুর্বর জমি আছে; সেখানে ফসল ফলাতে হবে। যে পারবে তার হাতে তুলে দেওয়া হবে সব জমির মালিকানা। পরেরদিন সকালে দুই ছেলে মাঠে হাজির হয়। কথামতোতারা শুরু করে চাষাবাদ। এরপর বেশ কিছু দিনগেলো। অলস স্বভাবের ছেলেটি এখন আর মাঠে যায় না। দুর্যোগ আর প্রকৃতির খেলায় সে নিজের কাছে হার মেনে নিয়েছিল। অপর দিকে পরিশ্রমী ছেলেটি দীর্ঘদিন মাঠ কামড়ে পড়ে থেকে সোনার ফসল ফলালো। বৃদ্ধের সংসার ধীরে ধীরে টাকা পয়সায় ভরে গেল। তারপর এলো সেই দিন, যখন বাবা তার যোগ্য ছেলের হাতে তুলে দিলো সব জমির মালিকানা। জীবনের প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিল যে, ধৈর্য্য ধরে পরিশ্রম করলে জীবনে সফল হওয়া যায়।