ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর

ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর ।। লেখা : কবিতা সামন্ত

পল্টু রোজ বিস্কুট খেলেই ছুটে বারান্দায় চলে য়ায়। মা কতবার বারণ করেছে ওদিকে না যেতে। তবুও রোজ মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে ঠিক যাবেই। ওদিকের মাটির দেওয়ালে অনেক গর্ত রয়েছে। তাতে ইঁদুরের সংসার। ওরা অনেক জন একসাথে থাকে।ধানের গোলাটা যবে থেকে বাবা পাকার দেওয়াল দিয়ে তৈরী করেছে তবে থেকেই ওদের খাবারের কষ্ট। এইটুকু তো পেট, কতই বা ধান খেত ওরা? আর ওরা কেমন সুন্দর করে ধানের খোল ছাড়িয়ে কুটকুট করে ধান খেত তা লুকিয়ে লুকিয়ে পল্টু অনেকবার দেখেছে। পাটের বস্তা কেটে দিলে ওপর থেকে যখন ধানগুলো ঝরে পড়ত পল্টুর খুব মজা হত। ইঁদুরগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে ধান খেয়ে যেত। কারোর পায়ের শব্দ পেলেই ছুটে গর্তে ঢুকে লুকিয়ে পড়ত।এখন ওরা সারা বাড়ি খাবার খুঁজে কিন্তু কিছুই পায়না।মা বলে এই ইঁদুরের জ্বালায় কিছু বাইরে রাখতে পারি না। তাই ফ্রিজের ভেতর সব খাবার থাকে। পল্টু বাবু ঠিক করে ফ্রিজটা খুললেই মা রাগ করে। মা ফ্রিজে চাবি দিয়ে রাখে পল্টু বাবু সব সময় ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল খায় বলে। পল্টু বাবুর ঠাণ্ডার ধাত, একটুতেই সর্দি কাশি ধরে নেয়।তাই মা যখন রোজ সকালে আর বিকেলে বিস্কুট খেতে দেয় তখন ছুটে গিয়ে পুরোনো মাটির বারান্দায় বিস্কুট ভাঙা ছড়িয়ে দেয়। ওদিকে গেলে মা বকা দেয় কারণ ইঁদুর ধরতে যখন তখনই ওখানে সাপ আসে। গত বছর মুনিসীদের একজনকে সাপে কেটেছিল। খাবার মনে করে খুব জোড় কামড় বসিয়েছিল।আজ বিকেলে পল্টু বাবু একটা সাপ দেখেছে। মা জানতে পারলে পিঠে দুচার খা পিটুনিও পড়তে পারে। সাপ দেখলে পল্টু বাবুরও খুব ভয় করে। তাই কাল থেকে ওদিকে আর যাবে না পল্টু। বিস্কুট ভেঙে ভেঙে না হয় ঘরেই ছড়াবে। ইঁদুরগুলো যখন খাবারের সন্ধানে আসবে তখন না হয় খেয়ে নেবে।

Author: admin_plipi