বিশ্ব উষ্ণায়ণ
লেখা – সাম্য মণ্ডল প্রচ্ছদ – শুভার্থী
-“অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট… তোকে আগেই বলেছিলাম এই আনকোরা ছেলেমেয়েগুলোকে সাথে নিয়ে কোনো লাভ হবে না। এখন দেখছিস তো, আসতে না আসতেই কেমন ছড়িয়ে লাট করে বসে আছে…”, অতনুর ফর্সা গোলগাল মুখটা রাগে কেমন লাল টুকটুকে হয়ে গেছে।
চট করে রেগে যাওয়াটা অবশ্য ওর স্বভাব নয়। কিন্তু কর্পোরেট সেক্টরের সিস্টেম্যাটিক কাজ করতে করতে এখন কোন কিছুতেই অব্যবস্থা একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। তার ওপর সেটা যদি হয় ওর পার্ট অফ ড্রিম প্রোজেক্ট।
আমি সামাল দেওয়ার জন্য মুখ খুলতে যাব, এমন সময় সামনের ম্যাটাডোর থেকে একটা কম্বলের বস্তা নামাতে গিয়ে সেটা হুড়মুড় করে ডালা খুলে নিচে পড়ে লাল ধুলোমাটির ওপর গড়িয়ে পড়ল। কি ভাগ্যিস এখনও প্যাকেট কাটা হয়নি! তবে যেহেতু কোলকাতা থেকে এতদূর নিয়ে আসার একটা ব্যাপার ছিল তাই বড়বাজার থেকে বেশ ভালো করেই প্লাস্টিক র্যাপ করে দেওয়া হয়েছে। অতনু হড়বড় করে দৌড়ে যাচ্ছিল, আমি ওর কাঁধে হাত দিয়ে আটকালাম।
-“দেখলি, দেখলি? সামান্য কটা মাল অবধি এরা গাড়ি থেকে ঠিকঠাক নামাতে পারছে না! সেলফি আর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ছাড়া এই জেনারেশনটা কিচ্ছু বোঝে না। আসা অবধি একশোটা ছবি আর পঞ্চাশটা স্ট্যাটাস দেওয়া ছাড়া আর কাজের কাজ কি করেছে বল… এদিকে মেলা লোক জমে গেছে, তারপর আবার এখানকার কাজ মিটিয়ে আরও তিনটে জায়গায় যাওয়ার আছে। এইভাবে চললে এখানেই বেলা কাবার হয়ে যাবে। তোকে শুরুতেই পইপই করে বারণ করেছিলাম নুরী, এখন দেখলি তো! সাবির আর কিংশুককে ছাড়া আসাটাই ভুল হয়েছে।”
নুরী আমার নাম নয়, ওটা ভালবাসার ডাক। আসল নাম নাঈমা। কোলকাতার উপকণ্ঠে একটা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে বর্তমানে অধ্যাপনা করি। অতনুর সাথে এই প্রোজেক্টটাতে শেষ তিনবছর হল কাজ করছি। যদিও ওর সাথে আমার পরিচয় ও প্রণয় বহুদিনের।
মূলত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে আমরা পুজোর আগে আর শীতকালের শুরুতে কয়েকটা ছোট ছোট টিম বানিয়ে স্থানীয় আঞ্চলিকদের মধ্যে নতুন জামাকাপড়, শীতবস্ত্র আর কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করি। না, এতে কোন সরকারি সাহায্য বা এনজিওর পৃষ্ঠপোষকতা থাকে না। সম্পূর্ণভাবেই নিজেদের উদ্যোগ আর কিছু পরিচিত মানুষের সহৃদয়তা থেকেই একদিন কাজটা শুরু করেছিলাম। আজ তিন বছরে সেটা বাড়তে বাড়তে শাখাপ্রশাখা মেলে বহুদূর বিস্তৃত হয়েছে।
এ বছর কিছু ছোটখাট অসুবিধার জন্য শীতের শুরুতেই আসার পরিকল্পনাটা বারবার বিলম্ব হচ্ছিল। ফান্ড সংক্রান্ত কিছু সমস্যা তো ছিলই, তার চেয়েও সমস্যা হচ্ছিল ম্যান পাওয়ারের। আমরা দুজন ছাড়াও আমাদের কর্মকাণ্ডের আরও দুজন মূল হোতা সাবির আর কিংশুক। সাবিরকে হটাৎ মাসখানেকের জন্য ব্যাঙ্গালোর যেতে হয়েছে, আর কিংশুক বেচারি সপ্তাহখানেক ডেঙ্গুতে ভুগে সবেমাত্র বাড়ি ফিরেছে। যদিও এ অবস্থাতেও সে আসতে চাইছিল, কোনমতে তাকে ধমকধামক দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
যেহেতু বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজটা করছি তাই শেষ পর্যন্ত ফান্ড কালেকশন আর কেনাকাটার ব্যাপারটা আমরা দুজনেই ম্যানেজ করে নিয়েছিলাম। কিন্তু প্যাকিং আর ট্রান্সপোর্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য বেশ কিছু হেল্পিং হ্যান্ডের প্রয়োজন ছিল। আমাদের টিমে নতুন কিছু ছেলেমেয়েকে নেওয়ার আইডিয়াটা অবশ্য আমারই। অতনু যতই গালমন্দ করুকনা কেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে লাস্ট তিনটে ইয়ারে আমাদের কাজের কিছু কিছু ফটো আর ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। আর তাতেই অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে, প্রচুর মানুষজন যেমন আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন তেমনই আমাদের কর্মকাণ্ডের সাথেও যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
আমার ডিপার্টমেন্টের বেশ কিছু ছেলেমেয়ে বহুদিন থেকেই আমাকে অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিল। ভাবলাম এ সময়ে ওদেরকেও যদি সুযোগ দেওয়া যায় মন্দ কী। অতনুকে রাজি করানোটা একটু চাপের ছিল, কিন্তু ওকে বোঝালাম যে শীতকাল দ্রুত এগিয়ে আসছে। কোলকাতায় যতই ডিসেম্বর মাসে শীত আসার জন্য সাধ্যসাধনা করতে হোকনা কেন, জঙ্গলমহল ও রাঢ়বঙ্গের গ্রামবাংলায় অনেক আগেই ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করে। এখন যদি সাবিরের ফিরে আসা বা কিংশুকের সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করি তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। যাদের জন্য এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তারাই বেশ কিছুদিন বঞ্চিত থেকে যাবে। এমনিতেও রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাতে আমাদের প্রান্তিক সহনাগরিকরা চিরকালই সমানাধিকার থেকে অনেকাংশেই বিচ্ছিন্ন থেকেছে। আমার লেকচার দেওয়ার পেশাগত দক্ষতাতেই হোক বা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করেই হোক, সুড়সুড়িতে কাজ হল। অতনুর খুঁতখুঁতে মন আরও কিছুটা নরম হল যখন আমাদের কলেজ থেকে তিনটি ছেলে আর দুটি মেয়েকে নিয়ে কিংশুকের বাড়িতে বসে সমস্ত প্যাকিং পর্ব ঠিকঠাক মিটে গেল। কিংশুক নিজে কোন কাজ করতে না পারলেও সামনে বসে থেকে, পরামর্শ দিয়ে পুরোটাই ঠিকঠাক পরিচালনা করে দিয়েছিল।
আমি ফাস্ট ইয়ারের দুটি ছাত্রীকে নিয়ে আগেরদিন রাতেই কাছাকাছি একটা গেস্ট হাউসে চলে এসেছিলাম। কথা ছিল অতনু আরও তিনটি ছেলেকে নিয়ে খুব ভোররাতে কোলকাতা থেকে সরাসরি পুরুলিয়া চলে আসবে। কিন্তু বিধি বাম, একটি ছেলে ওদের সাথে জয়েন করতে বেশ কিছুটা দেরি করার জন্য কোলকাতা থেকে বেরোতেই দেরি হয় যায়। সে বেচারি ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছিল! রাস্তাতেও কিছুটা সময় নষ্ট হয়। শুরু থেকেই যে অতনু যথেষ্ট খাপ্পা ছিল, সেটা সকালে ওর মুখ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম। আজ মোট চারটে জায়গায় যাওয়ার আছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করা একটি শবর ছেলে প্রতিবারে আমাদের এখানের কাজে সাহায্য করে। নাম ধণীরাম টুডু। অতনু মজা করে ওকে রামদা বলে ডাকে। সেই দাদা সবেমাত্র এসে পৌঁছেছেন। আমি অতনুকে ঠাণ্ডা করে ওনার সাথে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলাম।
স্থানীয় একটা প্রাইমারি স্কুলের দাওয়ার বস্ত্র ও কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আসার আগেই কত ভোর ভোর মানুষজন আসতে শুরু করে দিয়েছেন। রামদা মারফৎ আগে কিছুটা প্রচার করা থাকে আর পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নামের লিস্টও আগেই তৈরি করে নিই, নাহলে ডিস্ট্রিবিউশনের সময় হুড়োহুড়ি লেগে যায়। তাতে অবশ্য এই মানুষগুলির কোন দোষ নেই; স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়েও আজও যে এরা এত পিছিয়ে আছে সেটা আমাদেরই লজ্জা।
এবছর এই অঞ্চলে ঠাণ্ডা যে আরও আগেই পড়ে গেছে তা এই নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ভোরেই হাড়েহাড়ে মালুম হচ্ছে। কাজের শুরুতে নতুন ছেলেমেয়েগুলি একটু গড়বড় করে ফেললেও আধঘণ্টার মধ্যেই ওরা বেশ ম্যানেজ করে ফেলল। আসলে ইচ্ছে আর উদ্যম থাকলে কোন কিছুই আয়ত্ত করে ফেলা অসম্ভব নয়।
লাস্ট লোকেশনে যখন পৌঁছালাম তখনই ঘড়ির কাঁটায় প্রায় সাড়ে চারটে বেজে গেছে। দিনের আলো ফুরিয়ে আসছে তাই আমরা সকলেই দ্রুত হাত চালাচ্ছিলাম। মাঝখানে শুধু আধঘণ্টার লাঞ্চব্রেক নিয়েছিলাম। প্রতিবারের মতো রামদাই গ্রামের একজনের মাটির বাড়ির দাওয়ায় খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মোটা লালচালের ভাত, ঝিঙ্গের তরকারি, চারাপোনার ঝোল আর টমেটোর চাটনি। সবই গ্রামের ফসল, যেমন তাজা তেমনই সুস্বাদু। অথচ কি অবিশ্বাস্য কম দাম সবকিছুরই। কৃষকদের কাছ থেকে খুব সামান্য দামে কিনে নিয়ে, ফড়েরা সেই সবজিকেই দূরদূরান্তের বাজারে পাঠিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে!
কম্বল আর জামা কাপড়ের শেষ গাঁটরিটাও যখন নিঃশেষ হয়ে গেল তখনও বেশ কিছু ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খালি হাতে একটু দূরে বসে আছে দেখলাম। প্রতিবারই এমন হয়… যতই সাধ্যমতো চেষ্টা করিনা কেন, কিছু মানুষকে ব্যর্থ মনোরথে ফিরতে হয়। আর দিনের শেষে আমাদের মনও ভারাক্রান্ত থাকে কিছুটা। হয়তো সেই ব্যর্থতাটাই আগামীবারের জন্য আমাদের আরও বেশি উদ্দীপিত করে! তবে এবারে আমার আর অতনুর জন্য অন্তিমে একটা চমক অপেক্ষা করছিল।
ম্যাটাডোরটা খালি হয়ে যাওয়ায় সেটাকে ছেড়ে দিলাম। যে তিনটি ছেলে অতনুর সাথে কলকাতা থেকে এসেছিল ওরাও সেই গাড়িতেই ফিরে গেল। আরেকটা গাড়ি অবশ্য সাথে আছে, যেটাতে আমি আমার দুই ছাত্রীর সাথে এসেছিলাম। অতনু সহ আমরা বাকী তিনজন আজকের রাতটা গেস্ট হাউসেই কাটিয়ে দেব। জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছিলাম, এই সব পাথুরে জায়গায় খুব ঝপ করে সন্ধ্যে নেমে যায়। আমার ছাত্রীদুটি কিছুক্ষণ হল নিজেদের মধ্যে নীচুস্বরে কথাবার্তা বলছিল, এবার ওদের মধ্যে একজন আমার সামনে এসে দাঁড়াল। ওর নাম পূবালী।
-“কিছু বলবে পূবালী?” ইতস্তত করছে দেখে সেটাই মনে হল প্রথমে। অতনুও ওর দিকে তাকিয়েছে।
-“ম্যাম যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা কথা বলব…”
-“হ্যাঁ, হ্যাঁ, বলো না। শরীর খারাপ করছে না তো? সকাল থেকেই ছুটোছুটি করছ, অভ্যাসও নেই তোমাদের…”
-“শরীর ঠিক আছে ম্যাম। বলছিলাম কি, এখনও কিছু বাচ্চা রয়ে গেছে যারা ড্রেস বা কম্বল কিছু পায়নি…”
-“জানি পূবালী, কিন্তু এবারের মতো তো আর কিছু করা যাবেনা। আমি দেখছি যদি রামদাকে বলে পরে কিছু পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে…” অতনুই আমার হয়ে উত্তরটা দিয়ে দিল। ওর গলাতেও বিষণ্ণতার ছাপ।
-“না মানে স্যার, আমার কাছে কয়েকটা গরম জামাকাপড় আছে। কিন্তু সেগুলো নতুন নয়, তার মধ্যে কি কিছু…” বাকী কথাগুলো সংকোচ বশত ওর গলাতেই আটকে গেল।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমরা যেদিন থেকে এই সামাজিক প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছি তার প্রথম দিন থেকেই আমাদের একটা স্থির সিদ্ধান্ত ছিল এই যে, পুরোনো বা জরাজীর্ণ কিছু, না আমরা নেব বা বিতরণের কাজে ব্যবহার করব। যত ক্ষুদ্রই হোকনা আমাদের সামর্থ্য, নতুন বা অব্যবহৃত সামগ্রীই হবে একমাত্র সম্বল। পূবালীরা সে কথা জানে বলেই এত কিন্তু কিন্তু করছে।
আমি বা অতনু কিছু বলার আগেই ও ফের জড়তা ভেঙে বলল, “আসলে আমার আর ভাইয়ের কিছু ছোটবেলার সোয়েটার বাড়িতে রাখা ছিল। জিনিসগুলো এখনও খুব ভালোই আছে। কাল বেরোনোর সময় মা ওগুলো ব্যাগে দিয়ে বলেছিল যদি লাগে তো ব্যবহার করতে; আমার কাছেই আছে এখন।”
অতনুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে বিষণ্ণতার মেঘ কেটে গিয়ে একটা গভীর প্রশান্তির আলো ছড়িয়ে পড়ছে। ওর মনের ভাব বুঝে আমি বললাম, “বাড়িতে বড় দাদা বা দিদিদের জামা কি ছোটরা পরে না; ওরাও তো তোমাদের ছোট ভাইবোনেরই মতো। তুমি ভালোবেসে ওদের জন্য যখন এতদূর থেকে নিয়ে এসেছ, তখন নিশ্চয়ই দেবে। ভালোবাসার উপহার কি ফিরিয়ে নেওয়া যায়!”
পূবালী খুব খুশি হয়ে দ্রুত পায়ে আমাদের গাড়ি থেকে ওর ব্যাগটা নিতে চলে গেল। অতনু এখনও নির্বাক প্রসন্ন চিত্তে ওর যাত্রাপথের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একটু সরে ওর একটা হাত চেপে ধরে দাঁড়ালাম। ভারী উষ্ণ সেই হাতের স্পর্শ। আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে দুজনে একসাথে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুই বাড়িরই প্রবল অমতে পিছু হটতে বাধ্য হই। তারপর এতগুলো দিন কেটে গেছে; তবে সত্যি বলতে কী এখন আর আক্ষেপ হয়না। নিজেদের ছোট্ট সংসারের বাইরেও যে এখন এতবড় একটা জগতে, এত মানুষের সাথে জড়িয়ে পড়েছি এটাই বড় প্রাপ্তি।
-“দিনের শুরুতে তুই একটা কথা বলেছিলি না, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট…” আমি বললাম মৃদুস্বরে।
শেষবেলার রক্তিম আলোতে অতনুর মুখ আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। সেই মুখে সলজ্জ হাসি। তবে কোন উত্তর দিল না।
-“এবার আমি একটা কথা বলতে চাই…”
-“কি?”
-“সব ভালো যার শেষ ভালো।”