বহুদিন পর দেখা আরুহি আর সূর্য্য-র৷
-কিরে, ভালো আছিস তো?
বহুদিন পর এই প্রশ্নটা শুনে সূর্য্য নিজের মনেই বলে ওঠে মেয়েটা আজও বদলায়নি, মুখে শুধু বলে
-হ্যাঁ, ভালো আছি৷ আর তুই?
-আছি এক রকম৷
-খারাপ নেই সেটা বুঝতেই পারছি, তাও একবার জিজ্ঞেস করলাম ভদ্রতার খাতিরে৷
-তোর আমার সম্পর্কটা আজ ভদ্রতার খাতিরে এসে দাঁড়িয়েছে!
-হা.হা.হা. সরি৷ আসলে সম্পর্কের কথা বললি তো তাই হাসিটা আর চাপতে পারলাম না৷ কিছু মনে করিস না৷
-তোর আমার কথা শুনে হাসি পাচ্ছে?
-আসলে তুই সম্পর্কের কথা বললি তো তাই৷ আমাদের মধ্যে তো কোনোদিনই কোনো সম্পর্ক ছিল না৷ যেটা ছিল সেটা হল আমার একতরফা ভালবাসা৷
-একটা কথা জিজ্ঞাসা করব?
-হ্যাঁ,কর৷ তুই আবার কবে থেকে পারমিশন নিয়ে কথা বলতে শুরু করলি৷ তাও আমার থেকে৷
-কাউকে ভালোবেসেছিস?
-হ্যাঁ৷ কেন বলত?
-না, এমনি৷ আর আমাকে ভুলে গেছিস?
-কাকে ভালোবাসি জিজ্ঞেস করলি না তো!
-আমি জেনে কী করব? তোকে যেটা জিজ্ঞেস করলাম তার উত্তর দে৷
-না, তোকে ভুলতে পারিনি৷ আজও আমার মন জুড়ে শুধু তুই আছিস৷ আজও তোকে ভালোবাসি সেই প্রথম দিনের মতোই৷ আজও আমার তোর বলা সেই কথাটা মনে আছে৷ যেদিন বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে তোর কাছে গিয়ে বলেছিলাম, তোকে আমি আমার জীবনের থেকেও বেশী ভালোবাসি৷ তোকে ছাড়া আমি থাকতেই পারব না৷
আর তুই এর উত্তরে বলেছিলিস, যে নিজের জীবনকে ভালোবাসে না সে আমাকেও ভালোবাসতে পারবে না৷ সেদিন খুব কষ্ট হয়েছিল৷ এরপর থেকে তুই যখন রোজ আমায় জিজ্ঞেস করতিস, কিরে ভালো আছিস তো? আমার খুব বলতে ইচ্ছা করত, যে তুই পাশে থাকলে তো আমি এমনিই ভালো থাকব৷ কিন্তু বলিনি কেন জানিস?
-কেন বলিস নি?
-যাতে আজ বলতে পারি যে আমি আমার জীবনকে ভালোবাসি, আর তোকেও৷ শুধু পার্থক্য একটাই, আজ আমি তোকে ছাড়া থাকতে শিখে গেছি, তোকে ছাড়া বাঁচতে শিখে গেছি৷ আসছি,ভালো থাকিস৷
আরুহি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে সূর্য্যর চলে যাওয়া৷
কলমে – সুদেষ্ণা
ছবি – দেব