আত্মকথা :: লেখা – দেবশ্রী
আমি নাকি তিতাস নদী ছিলাম,
শান্ত,স্নিগ্ধ, নরম কথা বলা।
মাঝে মধ্যে উঠত বুকে ঢেউ,
পাথর ভেঙে হ’ত তবু চলা।
ছিল সেথা ছোট্ট একটি পাখি,
গা ভেজানো ছিল যে তার খেলা।
তার মিষ্টি গানে জুড়ে নদীর তান
কেটে যেত তিতাস নদীর বেলা।
নাই তো সেথা শব্দমুখর ব্যস্ত জনজীবন,
সবুজ জলে স্বর্গ খেলা আর চারদিক নির্জন।
দেবদূতেরা আসত প্রেমে পড়ে,
জল ক্রীড়াতে মাততো নদীর বুক।
নির্জনতা হারিয়ে গেল কোথায়!
পাখির গানের ছন্দ হল মূক !
সেই তিতাসের নির্জনে পথ চলা,
আর পাখির গানে কত কথা বলা,
কোথায় ওরে কোথায় ফিরে পাই!
বল না তবে সেই ঠিকানায় যাই!
তিতাস নদী আর ছোট্ট সেই যে পাখি,
চাইত শুধু পরস্পরের মুখ।
কোথায় গেল সে সুখের আলাপন,
হারালো আজ ওদের যত সুখ।
দেখল না কেউ ওদের চোখের জল,
দিল না ওদের ফিরিয়ে কলতান,
জনারণ্যের সুখের ঝাঁপির চাপে,
হল ওদের জীবন অবসান।
ফিরবে কি আর সেই ছোট্ট পাখি,
তিতাস-জলে নাইতে সারা বেলা!
পাহাড় নদী পাখির মিষ্টি গানে এই তো আমার জীবন বোধের খেলা!