
তোমাকে রবীন্দ্রনাথ
লেখা – পার্থসারথি দাস
ছবি – নিকোলাস
আজ তুমি গৃহবন্দী।
তোমার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ফুলে-মালায় সাজেনি আজ
তোমার আম্রকুঞ্জে কেউ গাইল না,
“কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক”
তোমার সেই কালো মেয়ের কথা মনে আছে কবি?
সেই কালো হরিণ চোখ?
সে মেয়ের আজ হঠাৎ পেলাম দেখা,
মুখখানি তার ঘোমটা দিয়ে ঢাকা,
হাঁটছে পথে, সবার সাথে,
নয়তো সে আজ একা।
আপন মনে হাঁটছে সমুখ পানে
যাচ্ছে কোথায় আদৌ কি তা জানে?
হয়তো বা সে ফিরছে আপন গাঁয়ে,
কেউ জানে না, জানে শুধু সেই মেয়ে।
মাথার উপর মেঘ করেনি আজ
বৈশাখের এই তপ্ত রোদে হাঁটাই এখন কাজ।
আকাশ পানে চাইছে বারে বারে
কৃষ্ণকলির সজল চোখে ক্লান্তি পড়ে ঝরে।
চোখ তুলে সে চায়নি আমার পানে,
কঠিন হ’ত সে চোখে চোখ রাখা।
দারুণ ভালো লাগলো ——‘অন্য রবি ‘
সাহিত্যের ছাত্রীর কাছে বিশ্লেষণ চাই। সে বিশ্লেষণ যতই অম্লমধুর হোক তাতে উৎসাহ বাড়ে।
রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ আষাঢ়ের মেঘ কে দেখে রোমান্টিক হয়ে উঠেছিল আর আপনার ‘কৃষ্ণকলি ‘র কাছে আষাঢ়ের মেঘ যেন ‘ঝলসানো রুটি ‘ ।
একটু ভুল হলো। সেটা কিন্তু বৈশাখের দিন।
‘বৈশাখের এই তপ্ত রোদে…….’
দারুন বৈপরীত্য সৃষ্টি করেছেন লেখক।
নতুন ধারা লেখা পেলাম।
কে এই কৃষ্ণকলি? রবি সৃষ্ট কৃষ্ণকলি কল্পনায় কবির মন মানসে ভেসে ওঠা অন্য কৃষ্ণকলি টি কে?
চিনতে পারেন নি। কবির কল্পনার ‘কৃষ্ণকলি’ আজ বাস্তবের মাটিতে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছে। সেদিন তার কবির পানে চাউনিতে ছিল লজ্জা। আর বাস্তবের ‘কৃষ্ণকলি’ যাকে রাস্তায় হাঁটতে দেখেছি তার দুচোখে আমাদের তথাকথিত ‘সভ্যতার’ প্রতি ঝরে পড়ছিল ক্রোধ।
তাই তো,’কঠিন হতো সে চোখে চোখ রাখা’
বাহ ! কি দারুন লেখা পড়লাম। মনে একজন বাজছে। ছবিটি যেন চোখ থেকেই সরছে না। কবির কল্পনায় এই কৃষ্ণকলি টি ব্যাখ্যা পাওয়ার আশায় রইলাম। লেখকের কাছে অনুরোধ রইল। ছবিটি কিন্তু সত্যি অসাধারন। এই সাইট টি তে এটা একটা অসাধারন বেপার। খুব ভালো ছবি থাকে লেখার সাথে। সাইট টিকে সাধুবাদ। আর লেখক শ্রী পার্থ সারথি দাস আপনাকেও সাধুবাদ।
লেখকের প্রতি 🙏।
Nice.
Khub sundor boiporityo shristi korechen. Sei diner krishnokoli ar ajker krishnokoli.
অসাধারণ
ছবি টি fabulous। লেখাটিও ততোধিক সুন্দর।
অসাধারন। আর কিছু বলতে পারছি না। ছোট পরিসরে দারুন একটা কন্ট্রাস্ট। প্রতি লাইনে রবি ঠাকুরের কৃষ্ণ কলির সাথে বৈপরীত্য নজর কাড়ল
লেখক রবি প্রেমী। বলাই বাহুল্য।
👍👍👍👍👍👍👍👍👍👍
অসাধারন এক কথায়। যেমন লেখা তেমন ছবি
Lekha o chhobi khub bhalo laglo.
লেখকের কৃষ্ণকলি টি কে?
আপন মনের মাধুরী মিশায়ে করেছি তাহারে রচনা।
অসাধারন এক লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ পাণ্ডুলিপি কে
আজ রবিন্দ্রনাথের কবিতটি আবার পড়ব। অনেক দিন পর মনে পড়ে গেলো।
Bartoman korun samayer upojogi ekti asadharan lekha. Share korlam.
Darun.
অনবদ্য
বড় করুন- “কৃষ্ণকলির সজল চোখে…”
তোমাকে রবীন্দ্রনাথ –
মিল ও অমিল ছন্দে দুই সময়ের ‘কৃষ্ণকলি’ কে আঁকতে চেয়েছেন কবি। রবীন্দ্রনাথের গ্ৰাম্য ভীরু কৃষ্ণকলি আজকের কঠিন সময়ে সাহসী ও সংগ্ৰামী । সময়ের পরিবর্তনে কৃষ্ণকলির এই উত্তরণ চরিত্রটিকে জীবন্ত ও চিরকালীন করে তুলেছে। সঙ্গের ছবিটিও যথাযথ কাব্যময়। আন্তরিক অভিনন্দন রইলো।
1900 সালের এই জুন মাসেই (যদি খুব ভুল না করি) রবি ঠাকুর লেখেন – “কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি…”
আর তার 120 বছর এর মাথায় তাঁর লেখার তুলনা টেনে এই বিসাধসিকত তুলনা টানলেন লেখক।
লেখক শ্রী পার্থ সারথি দাস মহাশয় কে সাধুবাদ ও আমার স্নেহাসিস। এমন বিরূপ পরিস্থিতি তার নজর এড়ায় নি। রবি ঠাকুর কে বোধয় কোথাও বাদ দেয়া যায় না।
সাথে এই ছবির একটি বার প্রস গসা না করে পারছি না। অসাধারন সঙ্গত লেখা ও ছবিটির। এটা কি হাত এ বানানো?
পাণ্ডুলিপি কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লেখা প্রকাশ করার জন্যে।
একদম ঠিক। বাংলা ৪ঠা আষাঢ় ১৩০৭।
তবে সেদিনের কবির কৃষ্ণকলি আষাঢ়ের মেঘ দেখে বৃষ্টি চেয়েছিল ফসল ফলাবার সম্ভাবনার কথা ভেবে আনন্দে আর আমার কৃষ্ণকলি একটু বৃষ্টি চেয়েছিল ঘামে ভেজা ক্লান্ত শরীরটাকে শীতল করতে।
Asadharn
Khub bhalo laaglo 👏👍
লেখকের প্রতি 🏵️
অসাধারণ
উৎকৃষ্ট লেখা। ভালো লাগল।
অসাধারণ !!!!!! খুব ভালো লেগেছে। আশা নিয়ে বসে থাকলাম এই রকম ভালো লেখার জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অসাধারণ !!!!!! খুব ভালো লেগেছে। আশা নিয়ে বসে থাকলাম এই রকম ভালো লেখার জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
রবির প্রখর সংমিশ্রণ এই লেখায় প্রাণ এনে দিয়েছে। দারুন লেখা।
দারুন লেখা। বর্তমান প্রেক্ষিতে সত্যি নতুন রুপে রবীন্দ্রনাথ কে মনে করেছেন লেখক।
রবীন্দ্রনাথ কে জীবনের প্রতি বিষয়ে পরতে পরতে পাওয়া যায়। তোমায় প্রণাম।
শ্রদ্ধেয় কালিকাবাবু,
বয়স যাই হোক স্নেহাশিষ ভালোবাসার কাঙাল আমরা সবাই। আপনার স্নেহের পরশ পেয়ে ধন্য। তাই এই বৃদ্ধের কাছে অজানাই থাক আপনার বয়স কারন সে তো একটা সংখ্যা মাত্র।
তাছাড়া, চুলে পাক ধরলেও মনটা তো সদাই সবুজ।
কবিই তো বলেছেন,
‘চির যুবা তুই যে চিরজীবী,
জীর্ণ জরা ঝরিয়ে দিয়ে
প্রাণ অফুরান ছড়িয়ে দেয়ার দিবি।’
শ্রদ্ধেয় কালিকাবাবু,
বয়স যাই হোক স্নেহাশিষ ভালোবাসার কাঙাল আমরা সবাই। আপনার স্নেহের পরশ পেয়ে ধন্য। তাই এই বৃদ্ধের কাছে অজানাই থাক আপনার বয়স কারন সে তো একটা সংখ্যা মাত্র।
তাছাড়া, চুলে পাক ধরলেও মনটা তো সদাই সবুজ।
কবিই তো বলেছেন,
‘চির যুবা তুই যে চিরজীবী,
জীর্ণ জরা ঝরিয়ে দিয়ে
প্রাণ অফুরান ছড়িয়ে দেয়ার দিবি।’
লেখক কে অনেক সাধুবাদ।