
বিমলা নিষ্পলক চোখে চেয়েছিল ঘটমান ঘটনার দিকে। বৃদ্ধাশ্রমের অ্যাটেনডেন্ট লোকগুলো বের করে বাইরে নিয়ে আসছে নিথর দেহটাকে। সজল চোখে মায়ের দেহটার দিকে তাকিয়ে আছে একমাত্র ছেলে বিকাশ। প্রচুর ফুল দিয়ে সাজিয়ে আনা হয়েছে স্বর্গরথটিকে। কিন্তু বিমলার মনের অস্বস্তি যাচ্ছেনা। অ্যাটেনডেন্ট ছেলেগুলো করছেটা কি? হ্যাঁ, এই তো, তোষকটাই তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছে ওরা। ওই তো পেয়েছে কাগজটা। বিমলার চোখদুটো চকচক করে উঠছে। কাগজটা এখন দাশরথি বাবুর হাতে। তিনি খুব মন দিয়ে পড়ছেন ওটা। ওই তো শোনা যাচ্ছে চেঁচামেচির শব্দ। তড়াক করে বিমলা বেরিয়ে এল ঘর থেকে। দাশরথি বাবু বারবার করে বিকাশকে বোঝাবার চেষ্টা করছেন যে তারা বিমলা দেবীর দেহটা দিতে অপারগ। আর এটাই তাঁর মায়ের অঙ্গীকার। বৃদ্ধাশ্রম কতৃপক্ষই তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করবেন।
বিমলা একটা স্বস্তির শ্বাস ফেললেন। অন্ততঃ তাঁর আত্মার শান্তির জন্য গয়ায় পিন্ডদানের প্রয়োজন নেই।
কলমে – সুমন
ছবি – অদ্রীশ
কয়েকটা শব্দে একটা আস্ত গল্প উপস্থাপনা করা সত্যি কঠিন কাজ । খুব সুন্দর প্রচেষ্টা ।
Like!! I blog quite often and I genuinely thank you for your information. The article has truly peaked my interest.