
ব্লু ডায়মন্ড রহস্য (সপ্তম ও শেষ পর্ব) শেষ টেলিফোন
লেখা – শান্তনু দাস
প্রচ্ছদ – নিকোলাস
আগে যা ঘটেছে:
বহু মূল্যবান একটা নীল হীরেকে কেন্দ্র করে রহস্যের জালে ইন্দ্রদা ও আমি। গুরুচরণ পাত্রের গ্ৰামের বাড়িতে যেদিন হাজির হলাম সেইদিন গভীর রাতে দেখলাম গুরুচরণ বাবু খুন হয়ে বাগানে পড়ে আছেন। আরো ভালো ভাবে কিছু দেখার আগেই ক্লোরোফর্ম দিয়ে কেউ আমাকে অজ্ঞান করে দিল। জ্ঞান ফিরলে অনেক খুঁজেও কোথাও লাশের সন্ধান পাওয়া গেল না, বরং পরে গ্ৰামের মন্দিরে সেই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হল যিনি গুরুচরণ বাবুকে ভয় দেখাতেন। পুরোহিতকে জেরা করেও রহস্যের কোন কিনারা হল না। রহস্য আরো ঘণীভূত হল যখন বুবাই জানাল যে সে গুরুচরণ বাবুকে দেখেছে। তিনি নাকি রাতের অন্ধকারে বুবাইয়ের জন্য একটি মাটির পেয়ারা দিতে এসেছিলেন। পরদিন রাতে ও সূর্যকান্তের ঘরে ও কিসের এত আলোচনা?… আজ শেষ পর্ব
আমরা তখন বোলপুর স্টেশন থেকে গণদেবতা এক্সপ্রেস ধরে কোলকাতা ফিরছি। সাতটার কাছাকাছি বেজে গেছে। মেঘের জন্য ট্রেনের জানলা দিয়ে চাঁদ আকাশে দেখা যাচ্ছে না। বাতাসে দাপট নেই, নক্ষত্ররাও নজরে আসছে না। ট্রেনের গতিময়তায় বাতাস সরাসরি আমাদের মুখের ওপর ঝাপটা মেরে চলেছে।
-“ইন্দ্রদা, তুমি তখন বললে ‘প্রয়োজন ফুরোয়নি’, মানে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
-“পুরো কেসটা শুনলে সব জলের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে সৌম্য।”
ইন্দ্রদা শুরু করল, “সেই রাতে আসলে কি ঘটেছিল তবে শোন। আমরা সেইদিনই গুরুচরণবাবুর বাড়ি পৌঁছেছি। ঐ সুমন লোকটাই গুরুচরণবাবুকে হুমকি দিত, বুবাই ঠিকই বলেছিল। সেইদিন রাতে সুমনই পাঁচিল টপকে গুরুচরনবাবুর ঘরে ঢুকেছিল হীরে চুরির জন্য। ব্লু ডায়মন্ডটা নিয়ে পালাতে গেলে গুরুচরনবাবু জেগে যান। গুরুচরনবাবু মেনগেট খুলে বাইরে আসেন আর দেখেন সুমন পালাচ্ছে। কিন্তু সুমন বাগানে পাঁচিল টপকে আসার সময় বা যাবার সময় তাড়াতাড়িতে ছুটতে গিয়ে খুব জোরে পায়ে হোঁচট খেয়েছিল, তাই বেশিদূর ছুটতে পারে নি। গুরুচরনবাবু ব্লু ডায়মন্ডটা ফেরত চান, তখনই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আর গুরুচরনবাবু নিজেকে সামলাতে না পেরে হাতের মস্ত বড় লাঠির বাঁটটা দিয়ে সুমনের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় সুমন। গুরুচরনবাবু সুমনের কাছ থেকে ডায়মন্ডটা নিয়ে নেন। সেই মুহূর্তে কি করবেন তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না। তারপর লাশটাকে মন্দিরে লুকিয়ে রাখা হয়।”
-“কিন্তু গুরুচরণবাবুই যে খুনটা করেছে সেটা এতটা জোর দিয়ে কি করে বলছ?”
ইন্দ্রদা দুটো ঝালমুড়ির প্যাকেট কিনে আবার বলতে শুরু করল, “মন্দিরে যখন সুমনবাবুর লাশ দেখলাম তখন চারপাশে রক্ত পড়েছিল। তখন ভাবলাম মাথা থেকে যদি শুধু রক্ত পড়ে তাহলে অতটা জায়গা জুড়ে ছড়াবে কেন? তখন আমি রক্তের কাছে নাক নিয়ে গিয়ে দেখলাম একটু পানের গন্ধ, আসলে রক্তের সঙ্গেও ছিল কিছু পানের ফেলা পিক। গুরুচরনবাবু প্রচুর পান খান ওনার ছেলের মুখেই শুনেছিস আর দেখেওছিস। তাছাড়া মৃত সুমনবাবুর জামাটা ছিল হালকা ভিজে। মন্দিরেই যদি খুন হবে তাহলে জামা ভিজে থাকবে কেন? তখনই বুঝলাম বাইরে খুনটা হয়েছে টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে তারপর লাশটাকে মন্দিরে রেখে দেওয়া হয়েছে।”
-“আর সুমনবাবুই যে ডায়মন্ড চুরি করতে গিয়েছিল সেটা বুঝলে কি করে?”
-“খুব সিম্পল। এক নম্বর পাঁচিলে কাদামাখা হাতের ছাপ। দুই নম্বর ছেঁড়া এক পাটি চপ্পল। তিন নম্বর চার্মস সিগারেট।”
-“তার মানে সুমনবাবু পাঁচিল পেরিয়ে ঢুকেছিল, বাগানে সিগারেট খেয়েছিল তারপর চুরি করতে উপরে গিয়েছিল। আর সেইজন্যই লাশের পকেট থেকে চার্মস সিগারেটের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল। লাশের বুড়ো আঙ্গুলে ছিল রক্তের দাগ। কারন ছুটে পালানোর সময় বাগানের মাটিতে হোঁচট খেয়েছিল সুমনবাবু। আর তাই পালাতে গিয়ে এক পাটি চপ্পল বাগানেই থেকে যায়। লাশের পায়েও লক্ষ্য করেছিলাম এক পাটি চপ্পল রয়েছে।”
-“ভেরি গুড সৌম্য।”
-“কিন্তু ইন্দ্রদা, গুরুচরনবাবুর একার পক্ষে এই বয়েসে ঐ লাশটা তুলে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে রেখে আসা কি সম্ভব?”
-“ওয়েট ওয়েট, এখনও বাকি আছে। ঘটনাচক্রে সেই রাতে সীতাপতি সুমনকে খুন হতে দেখে। সীতাপতি গুরুচরনবাবুকে শ্রদ্ধা করত, তাই গুরুচরনবাবুকে কিভাবে বাঁচানো যেতে পারে সেই প্ল্যান করতে শুরু করে। আমরা তখন গুরুচরনবাবুর ব্লু ডায়মন্ড রহস্যের সমাধান করতে চলে এসেছি। গুরুচরনবাবু যে খুন করেছেন এমনটা আমাদের মাথায় যাতে না আসতে পারে সেইজন্য সীতাপতি আর গুরুচরনবাবু শুরু করেন এক অদ্ভুত ফন্দি। রাত তখন খুব গভীর। সবাই ঘুমোচ্ছে, এমনকি আমরাও। ওরা দুজনে মিলে লাশটাকে মন্দিরে লুকিয়ে রাখে। সীতাপতি বলেছিল মনে আছে যে ও সকালে মন্দিরে পুজো দিয়েছে। মন্দিরে গেলে কি তার লাশটা নজরে পড়ত না? আসলে মন্দিরে ও গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু জানত লাশটা ওখানেই আছে। তারপর গুরুচরনবাবু বুকে নকল রক্ত মেখে কাদামাখা রাস্তায় শুয়ে পড়েন যাতে সবাই ভাবে গুরুচরণবাবু খুন হয়েছেন। আর সীতাপতি হীরেটা নিয়ে সোজা দোতলায় চলে আসে । তোর মুখে পেন্সিল টর্চের আলো মেরে তোকে জাগায়, ব্লু ডায়মন্ডটা ইচ্ছে করেই তোকে দেখায়। তুই ভাবিস কেউ হীরেটা চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে। তুই বাইরে আসিস, দেখিস মেনগেট খোলা, আর মেনগেটের বাইরে কাদামাখা রাস্তায় গুরুচরনবাবুর লাশ। ওটা লাশ ছিল না রে সৌম্য, ছিল গুরুচরনবাবুর নিখুঁত অভিনয়। তারপর পেছন থেকে এসে অজ্ঞান করাটা সীতাপতির কাছে খুব সহজ ব্যাপার। তাছাড়া সীতাপতি যখন ওর বাড়ি থেকে টর্চ দেখিয়ে আমাদের এগিয়ে দিতে আসছিল তখন লক্ষ্য করেছিলাম টর্চের কাঁচটা ভাঙ্গা। আবার গুরুচরনবাবুর বাড়ির দোতলা সিঁড়িতে আমি একটা ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো পেয়েছিলাম। সীতাপতিই যে তোকে সেই রাতে পেন্সিল টর্চের আলো মেরে জাগিয়ে তুলতে দোতলায় গিয়েছিল সেটা বুঝতে আর কোনো অসুবিধে হয়নি। দ্রুত নামবার সময় টর্চটা দেওয়ালে ধাক্কা খায় আর কাঁচটা সামান্য ভেঙ্গে সিঁড়িতে পড়ে থাকে। তোকে জাগানোর পেছনে একটা কারন ছিল নিশ্চয় বুঝতে পারছিস। গুরুচরনবাবু যে মারা গেছেন এই গুজবটা আমাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া ছিল ওদের উদ্দেশ্য।”
-“কি সাংঘাতিক বুদ্ধি! এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বুদ্ধি খাটানো, লাশ মন্দিরে সরানো, গুরুচরনবাবুর নিখুঁত অভিনয় করা, আমাকে অজ্ঞান করার মেটেরিয়াল জোগাড় করা… পুরো মাস্টার প্ল্যান তো একদম!”
-“ঠিক তাই। গুরুচরনবাবু ভেবেছিলেন ওনার খুনের ঘটনা দেখে কদিন পরেই আমরা কেটে পড়ব। আর তারপর উনি আবার ঘরে ফিরে এসে সব ঘটনা ছেলেদের আর বৌমাকে জানাবেন।”
-“তাহলে গুরুচরনবাবুর লাশটার কাছে যে চশমাটা পড়েছিল সেটা? আর খালি পায়ের ছাপগুলো?”
-“চশমাটা ডিটেকটিভকে ভাঁওতা দেবার কায়দা মাত্র। খালি পায়ের ছাপগুলো সীতাপতি আর গুরুচরনবাবুর। গুরুচরনবাবু সুমনকে ধরতে গিয়ে তাড়াতাড়ির বশে জুতো পরতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর বামুন সীতাপতি তো চটিই পায়ে দেয় না।”
-“কিন্তু গুরুচরনবাবু মারা যাবার অভিনয় করলেন মানলাম। কিন্তু এই কদিন পুলিশের চোখ এড়িয়ে তিনি কোথায় ছিলেন? সীতাপতিবাবুর বাড়িতে থাকলে নিশ্চয় সেদিন দেখতে পেতাম যেদিন আমরা ওনার ঘরে গিয়েছিলাম।”
ইন্দ্রদার উত্তরটা তখন আর শোনা হয়নি। কারন ঝিলিকদির ফোন বেজে উঠেছিল। আমরা বাড়ি পৌঁছলাম এগারোটায়। হাত পা মুখ ধুয়ে টিফিন করার পর ইন্দ্রদা একটা সিগারেট ধরিয়ে আবার বলতে শুরু করল,
“গুরুচরনবাবু সীতাপতির বাড়িতেই ছিলেন এতদিন। সীতাপতির পিসিমাই আসলে ছদ্মবেশী গুরুচরন পাত্র।”
-“মানে?”
-“অবাক হবার কিছুই নেই সৌম্য। উনি যখন পিসিমা সেজে খাটিয়া থেকে একটা কথা বলেছিলেন, ‘সীতে কে এসেছে রে?’ তখন আমার খটকা লাগে। এই কথাটার মধ্যে ‘স’ এর উচ্চারণ সিসের আওয়াজের মত শোনাচ্ছিল। গুরুচরনবাবুর কথা বলার সময় লক্ষ্য করেছিস নিশ্চয় ‘স’ উচ্চারণটা সিসের আওয়াজের মত তীক্ষ্ণ। তাছাড়া বিকেলে সেদিন হরির পান স্টলে গিয়ে জানতে পারি সীতাপতি পান কিনতে এসেছিল। ভাবলাম ও নিজে তো পান খায় না। ও নিশ্চয় গুরুচরনবাবুর জন্য পান নিতে এসেছে।”
-“এবার বুঝতে পারছি ইন্দ্রদা, বুবাই ঠিকই বলছিল। সেই রাতে গুরুচরনবাবুই বুবাই এর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। চন্দ্রকান্তবাবু মেনগেট বন্ধ করার আগেই উনি ঢুকে পড়েছিলেন আর বাগানে লুকিয়ে ছিলেন। আর পরে তো বুবাই চাবি খুলে দিয়েছিল বলে উনি যেতে পেরেছিলেন। লালন তাহলে ঠিকই দেখেছিল যে বাগানে সাদা কাপড় জড়ানো কেউ দাঁড়িয়ে আছে। শুধু শুধু ওকে সন্দেহ করছিলাম। কিন্তু ইন্দ্রদা, তুমি সূর্যকান্তবাবুকে যে বললে তোমার একটা অসমাপ্ত কাজ বাকি আছে, সেই কাজটা কি?”
ইন্দ্রদা দেখলাম মুচকি হাসছে। পকেটে হাত ঢুকিয়ে ও বের করল সেই চকচকে ব্লু ডায়মন্ডটা। হালকা আলোতেও নীল আভা ঠিকরে পড়ছে পাথরটা থেকে।
-“ও মাই গড! ব্লু ডায়মন্ড! এটা তোমার কাছে?”
-“ইয়েস বস। অবশ্য এটার জন্য বেশিরভাগ ক্রেডিটটাই প্রাপ্য বুবাই এর। আমার সন্দেহ হয়েছিল গুরুচরনবাবু সেই রাতে বুবাইকে কি শুধু পেয়ারা দিতে এসেছিলেন নাকি অন্য উদ্দেশ্য ছিল। একটা মাটির পেয়ারা দেবার জন্য উনি এত কষ্ট করতে যাবেন কেন? আসলে উনি ডায়মন্ডটা লুকোতে এসেছিলেন। ওটা নিজের কাছেও রাখাটা নিরাপদ মনে করেন নি গুরুচরনবাবু কারন সীতাপতির একটু হলেও ওটার ওপর লোভ হতে পারে। গুরুচরনবাবুর রুমটা দেখে বেরিয়ে আসার সময় আমি দেওয়ালের পেরেকে একটা মই লক্ষ্য করি। পরদিন সকালে একই জায়গায় মইটা ছিল কিন্তু তার তলায় কাদা লেগেছিল। তার মানে রাতে কেউ মইটা বের করেছিল। যাইহোক পরে অবশ্য বুবাই বলে যে সেই রাতে মই বের করে মাটির পেয়ারাটা বুলবুলির বাসায় রেখেছে বুবাই আর দাদু মিলে। আবছা একটা সন্দেহ তখন আমার মনে জেগেছিল। তাই সেদিন বিকেলে আমি মইটা বের করে বুবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেই ঘুলঘুলির কাছে যাই। বুবাইকে মাটির পেয়ারাটা উপর থেকে ছুড়তে বলি। ইচ্ছে করেই ক্যাচ ধরিনি। মাটির পেয়ারাটা বাগানের শক্ত মাটিতে পড়ে ভেঙ্গে যায়। তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে পড়ে হীরেটা। বুবাই দেখতে পাবার আগেই সেটা পকেটে ঢুকিয়ে নিই।”
-“তার মানে নাতির সেন্টিমেণ্টের কথা ভেবে নয়, গুরুচরনবাবু মাটির পেয়ারা তৈরি করে তার মধ্যে হীরেটা লুকিয়ে বুলবুলির বাসায় রাখতে এসেছিলেন। কি অসম্ভব বুদ্ধি।”
-“এর থেকে নিরাপদ জায়গা সেই মুহূর্তে গুরুচরনবাবুর কাছে ছিল না।”
-“তাহলে তুমি কি ডায়মন্ডটা ওনাকে ফেরত দেবে না?”
-“অবশ্যই দেব যদি গুরুচরনবাবু আমাকে ব্লু ডায়মন্ড রহস্যের সমাধানের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেন। আর হীরে ফিরে পেতে উনি সেটা অবশ্যই করবেন। যখন উনি আজ পেয়ারার মধ্যে গিয়ে হীরে দেখতে পাবেন না তখন সব বুঝতে পেরে অবশ্যই আমাকে ফোন করবেন।”
-“কিন্তু গুরুচরণবাবুর প্রত্যাবর্তনে ওনার পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে যাবেন না?”
-“একদম না সৌম্য। কারন যে রাতে তুই সূর্যকান্তবাবুর ঘর থেকে আলোচনার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলি সেই রাতেই গুরুচরনবাবু ওনার পরিবারের কাছে এসে সব কথা খুলে বলেছেন বলে আমার বিশ্বাস। তাই সূর্যকান্তবাবু পরের দিন সকালে আমাদের চলে আসার ব্যাপারে এতটা তাড়াহুড়ো করছিলেন।”
-“কিন্তু ইন্দ্রদা এমনও তো হতে পারে, ধর গুরুচরনবাবু তোমাকে ফোন না করে পুলিশকে ফোন করে বললেন তোমার কাছেই আছে হীরেটা, তখন?”
-“সেরকম বোকামি উনি করবেন না কারন তাতে খুনের দায়ে ওনাকেই ফাঁসতে হবে। আমি এত কিছু জানি যখন ওনার খুনের ব্যাপারটাও আমার মাথায় আছে সেটা উনি ভালই বুঝতে পারবেন। ইচ্ছে করলেই ওনাকে কয়েক বছর হাজতবাস করানো যেত। কিন্তু ভেবে দেখলাম খুনটা করতে উনি বাধ্য ছিলেন, নইলে ওনার হীরেটা সুমন বিক্রিই করে দিত। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন দেখুক যদি পারে খুনিকে ধরতে, কিছুদিনের মধ্যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও বেরিয়ে যাবে। দেখ না অপেক্ষা কর আজ কিংবা কালকেই মৃত গুরুচরন পাত্র হঠাৎ জীবিত হয়ে ডায়মন্ডটার খোঁজে ইন্দ্রজিৎ সান্যালকে ফোন করছে।”
সত্যি হলও তাই। কাল সকাল গড়াল না। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই টেলিফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বেজে উঠল। ইন্দ্রদার মুঠোর মধ্যে তখন ব্লু ডায়মন্ডটা চকচক করছে। রিসিভারটা তুলে ঠোটের কোণে একটা মোলায়েম তৃপ্তির হাসি হেসে ইন্দ্রদা গম্ভীর গলায় বলে উঠল, “হ্যালো, ইন্দ্রজিৎ সান্যাল স্পিকিং।”
সমাপ্ত।
অসাধারণ লেখা। প্রতিটি পর্ব পড়তাম। বেশ লাগলো
দারুণ
যাক শেষ হল
জমজমাট গল্প। আরো রহস্য গল্প চাই
Like!! Thank you for publishing this awesome article.
You have noted very interesting points! ps decent internet site. “Wisdom is the supreme part of happiness.” by Sophocles.