বেঁচে থাকাটা যেন নিছক অভ্যাস করে ফেলো না,
জীবনে আসুক নেমে কিছু শ্যামাঙ্গী সন্ধ্যা,
সন্ধ্যামালতী রঙা রাত-দুপুর…
হলদে রোদ্দুরে মনকে জ্বালিয়ো না,
হালকা রিমঝিম নীল-সবজে বৃষ্টি মাঝে মাঝে মনে বাজাক না নূপুর…
জীবন হোক সুন্দর একগুচ্ছ কৃষ্ণপ্রেম, মেঘ-রোদ্দুর…
টাটকা রক্তকরবী তুলে এনে সাজিয়ে নিয়ো ধূসর আকাশটাকে, দূর-দূরান্তে ওই চোখ যায় যদ্দূর…
পতঙ্গের রং চুরি করে ভাসাতে চেয়ো না ঝর্ণার ঝরঝরিয়ে পড়া কাঁচের মতো স্বচ্ছ জলে…
বরং এক ফালি মেঘকে ধার চেয়ে নিয়ো আকাশ-নীলের কাছে ডুব দিতে ওই নীল অতলে…
এত আলোক মালা, এত ছড়িয়ে থাকা কত শত রঙ চুরি…
বিষাদের বাঁশি যেন সব আলোক মালা, রঙের বাহার
মুছে দিয়ে, গোপন অশ্রু দিয়ে সুর সাজে অবহেলায় পটমঞ্জরী…
জীবনের অর্থ শুধু খুঁজতে যেয়ো না স্বচ্ছতোয়ার খুশির হিল্লোলে ছুটে চলা মোহনার পানে…
তারই পাশে খুঁজে দেখো কত ঘরহারা, ভেসে যাওয়া বুভুক্ষু মানুষের বুকের পাঁজর কথা বলে! চোখের কোটর থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা জীবনের মানে…
কত আলো, কত স্বপ্ন, কত রঙ ধুয়ে গেছে, মুছে যায় চোখের গঙ্গায়! ওদের না বলা কথা, হাসি আর গানে…।।
লেখা : দেবশ্রী সিংহ
ছবি : জয়দেব ভট্টাচার্য