Category: Language

আবার সেই রোববার। দুহপ্তার টানা ব্যস্ততার পর একটু ফাঁকা ছিলাম সকাল থেকে। পাশের রুমে কেউ না থাকায় আড্ডার ও বালাই নেই। এক বন্ধুর প্ররোচনায় হাতে এসেছে ওরহান পামুকের ‘The Strangeness in My Mind’। সেটাই উল্টে-পাল্টে দেখতে দেখতে কখন আনমনে চুপ করে থাকা পাখাটির দিকে চেয়ে ল্যাদ খেতে শুরু করেছি তা…

-“বাবিন, বেরোচ্ছিস নাকি অফিসে?” -“হ্যাঁ, কেন?” -“একটা কথা ছিল।” -“আবার কি, জলদি জলদি বলো, অলরেডি লেট হয়ে গেছি।” -“রোজই তোর দেরী হয় ফিরতে। বলছি আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরবি বাবু। তোর জন্যে ওই নলেন গুড়ের..“ -“দু’দিন অন্তর অন্তর তোমাদের ওই এক প্রলাপ। কি করে আমাকে বাড়িতে আটকে রাখা যায়! অফিস…

      নিজেকে স্থায়ী ঠিকানাধারী সংসারীর চেয়ে ভবঘুরে ভাবতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যদিও অবশিষ্ট এক চতুর্থাংশ জীবনের একটা স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে, যেখানে প্রতিবেশীরা সংসারী হিসেবেই জানে, তবুও মনটা ঘুরে বেড়ায় অ্যাটলাসের পাতা থেকে এভারেস্টের চূড়ায়, সাহারা মরুভূমি থেকে সুমেরু প্রদেশে। সুযোগ পেলেই মনটা বেনারস থেকে বার্লিন, গঞ্জাম থেকে গুয়াতেমালা,…

      যতবার তোকে ছুঁই, আরও সবুজ হয় নিঃস্পৃহ তর্জনী। তোর শরীর জুড়ে লুকোচুরি খেলে আমার কবিতারা। যত আদর করে স্পর্শ করি তোকে তত গলে যায় আদিম হিমগিরি; উচ্ছল শব্দেরা ঢেউ খেলে স্বপ্নের গভীরে। তুই কোনো সাধারণ মেয়ে নয়, তোর শরীর ভরা শিল্পের উর্বর মাটি আর আমি বর্ষা পাওয়া…

    সিঁথেয় সিঁদুর, হাতে শাঁখা, পবিত্র বউ বেশ লাগে হাতেতে হাত,হাসির ঝলক,বিয়ে হওয়ার ঠিক আগে। বিকেলবেলা,অজানা মাঠ,বসেছিলাম চুপ করে পাশাপাশি, হালকা ছোঁয়া, ভাবলে এখন বুক ভরে। প্রথম সেদিন, বৃষ্টি এল,ভিজিয়ে দিল কাকভেজা, গাছের তলা,দুরন্ত বুক,জড়িয়ে ধরা খুব সোজা দুজন একা,জল থৈ থৈ,ঠোঁটের ছোঁয়া অমৃতস্বাদ সেদিন থেকেই, পাগল পাগল, মনটা…

    সকাল থেকে আজ জয়দেবের খুব ব্যস্ততা। ‘নব তরুণ সংঘ’ ক্লাবের আজ পঁচিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে, তার ওপর আজ ২৬শে জানুয়ারী, প্রজাতন্ত্র দিবস। তাই আজ ক্লাবে সারাদিন ধরে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রভাতফেরী, পতাকা উত্তোলন, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ‘নব তরুণ সংঘে’-র সেক্রেটারী জয়দেব…

সোমবার সকাল সকাল রিজিওনাল ম্যানেজার কুলকার্নি সাহেবকে রিসিভ করতে এয়ারপোর্ট যেতে হয়েছিল শুভময় দাসগুপ্তকে। প্রোমোশনের বছর, কোন রকম ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়, তাছাড়া প্রোটোকল বলেও একটা জিনিস রয়েছে প্রাইভেট কোম্পানিতে যেটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট।  অন্য কোনো অফিসারের ওপর ভরসা করতে পারেন না শুভময়। তাছাড়া উনি যেভাবে শক্ত হাতে অফিসটা চালান তাতে…

    ছোটবেলা থেকে দেবারতির স্বপ্ন ছিল চুটিয়ে সংসার করবে । শ্বশুর, শাশুড়ি , দেওর ,ননদ,বর , এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে , কাজের লোক আরো কতজনকে নিয়ে । কম বয়সে রবিঠাকুর ,শরৎচন্দ্র, আশাপূর্ণা দেবীর গল্প পড়ে স্বপ্নের এই পথচলাটা দেবারতির কাছে অস্বাভাবিক ছিল না মোটেও ।কিন্তু মন চাইলেই তো আর সব…

    বন্ধু  আমায় মনে আছে তোর? সেই যে সেদিন প্রথম দেখা,তুই আর আমি দু’জন মিতা, স্কুলের উঠোন,বারান্দা আর ক্লাসরুমের ওই বেঞ্চগুলোতে, গল্প হতো,কথা হতো,ঝগড়া হতো, পড়াশোনাও….. দশটা তিরিশ…ঘণ্টা বাজে,এক ছুটে সব আমরা মাঠে, প্রেয়ার শেষে ক্লাসে আসা,বকম বকম পায়রা কথা… আসতে ক্লাসে রিনাদিদি,সব চুপচাপ বড্ড বেশী!! চলছে পড়া এক…

    পাড়ার চেহারা যায় নিয়ত  বদলে, নদীর পুরোনো ঘাটে  আলো নিয়নের। বট গাছ কেটে ফেলে সাত তলা মল, সাইকেলে দেখা নেই ডাক পিয়নের। পুরোনো পাড়ার খোঁজে ফিরলে কখনো, অচেনা হয়েছে আজ চেনা পথঘাট, সার সার রামধনু রঙ দিয়ে আঁকা সুখী গৃহকোণে ঠাসা ফুটবল মাঠ। পুরোনো খেলুড়ে সাথী নেই কেউ…

    শীত শীত সকাল ঘুমের আড়মোড়া ভাঙছে ধীরে ধীরে…।দেওয়াল ঘড়িটার দিকে রঞ্জা তাকিয়ে দেখল পৌঁনে আটটা বাজে। এই যাঃ!! দেরি হয়ে গেল আজ ঘুম ভাঙতে।ঝটপট উঠে গিয়ে স্নান সেরে রান্নাঘরে ঢুকলো ও। আজ রবিবার,তাই রান্নার খুব একটা তাড়া নেই। সকালের ব্রেকফাস্টে আজ কুশলের প্রিয় কফি, ব্রেড টোস্ট,স্ক্রাম্বল্ড এগ্ বানালো…

  যে নদীর বুকে চাঁদ তার প্রতিবিম্বের সাথে কথা বলে, সেইখানে এসে তুমি বোসো। কথা যেথা মূক, ব্যথা যেথা বধির, সেইখানে হৃদয়ের দ্বার খোলা রেখো। আবেগ যেখানে যত্নে সুরক্ষিত চিবুকে আঙ্গুল ছুঁইয়ে দেখো কম্পিত অধর জ্যোৎস্নায় উদ্ভাসিত। না বলা কত কথা, এক লহমায় বাঙ্ময় হতে চায়, নীরব ঠোঁটের ভাষায়।।  …

বই নিয়ে গড়ে ওঠা বইপাড়া। সারাদিন ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত অথচ কি উদ্দীপিত এই বইপাড়া।  ভেসে আসে কত কথা চারিদিক থেকে – এদিকে আসুন, কি চাই? কি চাই আমি? পারতাম যদি পুরো বইপাড়াটাই তো আমার চাই। আস্তে আস্তে শীতে শীতল বইপাড়া ঘুম দিয়েছে। দোকানিরা বিদায় নিয়েছে। যে দু চার জন আছেন তারাও…

Fate. The term had crossed her mind for a brief second when she first laid eyes on him tonight in the crowd of unknown faces across the street. She’d never believed in fate before today, always brushing it off as romantic bullshit that people conveniently used to explain statistical anomalies…

অরুন আর পিয়ার বিবাহিত জীবনের এতগুলো বছর ওরা পার করে এলেও ওদের মধ্যে ভালবাসাটা যেন সেই প্রথম দিনের মতই আছে৷ আজও কেউ কাউকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না৷ ওদের একটা ছেলে একটা মেয়ে৷ অরুনাভ আর প্রিয়দর্শিনী৷ ওরা অবশ্য ওদেরকে অরি আর প্রিয়া বলেই ডাকে৷ ওরাও নিজেদের কর্ম জীবনে যথেষ্ঠ…