Continue Reading বিবস্ত্র মন

বিবস্ত্র মন

    কেমন করে হল রে? কেমন করে? বলছিলাম যখন কথাগুলো, তখন অমলের মুখ কেমন যেন বিকৃত। আজ থেকে সাতটা দিন আগে, বাবা তাঁকে বলেছিল- নিয়ে আয় না বাবা দুটো জ্বরের ওষুধ। জ্বরটা সকাল থেকেই বাড়ছিল। কখনো কখনো জ্বরে অচৈতন্য হয়ে পড়ছিল। তবুও অমল নির্বিকার। বাবার জমানো ফিক্সড ডিপোজিটটা অমল…

Continue Reading এ সভ্যতার পর

এ সভ্যতার পর

    স্থির খেয়াল নীরব অবধি জমে তোমার পায়ে ছুঁয়ে থাকা কিনারায় , নতুন দেশের ইতিহাস আর বালুকায়। হঠাৎ আসবে সে- বিগত আমাদের সেই জন্মেরই ছুঁয়ে আসা বাতাস, সাগর তরঙ্গ মিলে – বারবার সঁপেছিলাম যেথা তোমায় নিজের ত্যাগ সর্বস্বে, প্রাচীন বৈরাগ্যের বেশে । সেই জন্মের সিন্দুক বন্দি চিঠিতে, লিখেছিলাম আমার…

Continue Reading এবার মরলে গাছ হব আমি

এবার মরলে গাছ হব আমি

    সকাল সকাল রোদটা বেশ ভালোই ঠেকছিল। বাস-স্ট্যান্ড অবধি হেঁটে আসতেই প্রায় ঘেমে উঠেছিলাম। সোমবারের সকাল। কাজে ফেরার সকাল। বাসে জানলার সীটটা পাওয়া মাত্রই শরীরখানা এলিয়ে দিলাম। ডুবে গেলাম এলোমেলো স্মৃতিমেদুরতায়। মাঝে মাঝে জানলা দিয়ে বাইরেটা দেখছিলাম। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। অমলকান্তি ঝিনটির প্রেমেও পড়েনি। আমি হয়তো পড়েছিলাম। বর্ষার…

Continue Reading একশো সতেরো বছর পর

একশো সতেরো বছর পর

জাবর কাটতে থাকে ফুরিয়ে যাওয়া দিন, গুরুপাক রাতগুলো মুখোশ বন্দি হয়ে পড়ে থাকে, এঁদো গলির  এ কোণে ও কোণে। উচ্ছিষ্টের গন্ধ গায়ে মেখে, যারা হাঁটতে থাকে রোজ; চন্দন সুগন্ধিতে এখন আর ঘুম আসে না। এখানেই তুমি কবিতা লিখতে এসো, ঠেকবে পায়ে রজস্বলা ভোর; নিয়ন আলোয় ঠিক আমারই মুখোমুখি, বলছি শোন,…

Continue Reading এবার নিয়ে ছ’বার হল

এবার নিয়ে ছ’বার হল

এবার আমি আশায় ছিলাম সিওর হবে দেখা, সকাল সকাল লাইনে তাই দাঁড়িয়ে ছিলাম একা। কামিয়ে দাড়ি বাগিয়ে টেরী তোমার চয়েস করা পাঞ্জাবিটা চড়িয়ে গায়ে দু চোখ আশায় ভরা। তেজটা রোদের ক্রমেই বাড়ে লাইন এগোয় ধীরে, আমার দুচোখ তোমায় খোঁজে শতেক লোকের ভীড়ে। একটা সময় অবশেষে পৌঁছে গেলাম আগে, তোমার দেখা…

Continue Reading প্রতীক্ষা

প্রতীক্ষা

    জানতাম, সে আসবে। সে এল বিকেল চারটের দিকে। হালকা সবুজ শাড়ির আঁচল উড়ছে বিকেলের হাওয়ায়। একটু ইতস্তত করে এদিক ওদিক দেখে খুব সাবধানে চিঠিটা তুলে দিল আমার হাতে। জানতাম যে, এই চিঠিটা আমাকে লেখা নয়। এটা পৌঁছে দিতে হবে অম্লানের কাছে। এ কাজ আমি হাসিমুখে করে আসছি বিগত…

Continue Reading নক্ষত্র বীথি

নক্ষত্র বীথি

  জ্বলে ওঠেনি বুঝি … ওই দিগন্তেই তাও খুঁজি তাঁর সাঁঝের বাতি । ক্রমেই আঁধার আরো ঘন দেখি, বহুদূর তো সেও বটে, এ  আসমান দেখেই পাই স্বান্তনা। ভাবি তার চোখের জল হয়েছে আমার প্রেমের প্রতি, ওই যে সৃষ্টি নক্ষত্র বিথী । লেখাঃ রাজাদিত্য ছবিঃ নীপাঞ্জলি Nakshatra Bithi     |   …

Continue Reading অবাক ভালোবাসা

অবাক ভালোবাসা

  নারীর প্রতি পুরুষের ভালোবাসায় সর্বদাই পুরুেষর এক অপূর্ণতা, এক অতৃপ্তি পরিলক্ষিত হয়…..পছন্দের নারীকে ভালোবাসিতে তাহার যেন কিছুতেই আশ মেটে না, তাহার আজন্মলব্ধ হৃদয় উজাড় করিয়া দেওয়া ভালোবাসা যেন সেই বিশেষ রমণীর জন্যই নিবেদিত, সম্পূর্ণভাবে সমর্পিত, এক অনাস্বাদিত, অপূর্ব আঘ্রাণে আমোদিত অমৃতভান্ড সে যেন সর্বস্ব পণ করিয়া অধিগ্রহণ করিতে চায়…

Continue Reading সদাশিব এলো কি?

সদাশিব এলো কি?

“বলি, এটা কি মশকরা হচ্ছে ? সে আসবেটা কখন? ” গোবর লেপা বিশাল উঠোনটার এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকা জটলার সবচেয়ে বুড়ো লোকটা হঠাৎ চেঁচিয়ে বলে উঠে আবার চুপ মেরে গেল। সেই বুড়োর একটু দূরেই একটা মেয়েদের জটলা, নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করে আলোচনা করছে, সে বেটাকে হাতের…

Continue Reading খড়্গবাহাদুর

খড়্গবাহাদুর

  খড়্গবাহাদুর লোহার। ৫৫ বছরের নেপালি যুবক।  অরিজিন — ডিকতেল, নেপাল। বহুবছর যাবৎ রিয়াংয়ের বাসিন্দা। রিয়াং, রম্বি বাজারের অদূরে তিস্তার গা-য়ে ঢলে পড়া জনপদ, তিস্তার স্রোত ব্যতীত নৈঃশব্দপ্রবণ। ব্রিটিশ আমলে টানা রেলপথ  ছিল রিয়াংয়ের উপর। এন.জে.পি. থেকে তিস্তা বাজার অবদি চলত পণ্যবাহী ট্রেন। ১৯৬৬-তে তিস্তার বন্যায় চিরতরে ধ্বসে যায় এই…

Cover Picture for Pran showing burning ghat, and a tree with least green at pandulipi, a site for short stories, poem, Bengali stories, English stories, kids story, at pandulipi.net
Continue Reading প্রাণ

প্রাণ

ছেলেটা গাছ ভালোবাসতো। ছোটো থেকে যেখানে যত বীজ পেতো, নিয়ে এসে পুঁততো তার বাগানে। বাগান বলতে তার ছয় বাই চারের বারান্দা, পাখি এসে না বসতে পারলেও ছেলেটার প্রাণ লুকিয়ে থাকতো গাছগুলোর কোটরে। মন খারাপ আনন্দ অভিযোগ সব মন দিয়ে শুনতো ওর হাতে বড় হওয়া গাছগুলো। ছেলেটা বড় হওয়ার সাথে সাথে…