Category: Uncategorised

  অবশেষে হারিয়ে যেতে যেতে এদিক সেদিক এখানে ওখানে, ঘুরে ঘুরে স্থির হয়ে দাঁড়ালাম দেবী মূর্তির মুখোশের আড়ালে।   কাঁচা মাটি থেকে কঠিন হলাম চোখের তারায় এল শাসন ও ক্ষমা । বদল হলো মুখের আদল, স্নেহ করুণা মায়া মমতার রঙে রাঙা হলো আনন। আমার নিজের সত্তা ভুলে শোনা হলো দেখা…

    বিমলা নিষ্পলক চোখে  চেয়েছিল ঘটমান ঘটনার দিকে। বৃদ্ধাশ্রমের অ্যাটেনডেন্ট লোকগুলো বের করে বাইরে নিয়ে আসছে  নিথর দেহটাকে। সজল চোখে মায়ের দেহটার দিকে তাকিয়ে আছে একমাত্র ছেলে বিকাশ। প্রচুর ফুল দিয়ে সাজিয়ে আনা হয়েছে স্বর্গরথটিকে।  কিন্তু বিমলার মনের অস্বস্তি যাচ্ছেনা। অ্যাটেনডেন্ট ছেলেগুলো করছেটা কি? হ্যাঁ, এই তো, তোষকটাই তোলার…

      শুধু রক্তের চাপ চাপ দাগ চারদিকে ক্ষত বিক্ষত মাংসখন্ডের বিকৃত গন্ধ বাতাসে। দমবন্ধ পরিবেশেও ক্ষণে ক্ষণে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ খবর পৌঁছানোর দায়িত্বে অটল ওরা কয়েকজন।   তবুও থমকে থাকে ভাবনারা কিছুক্ষণ একটু আগেও যে কারো ছেলে, কারো ভাই কারো প্রেমিক কারো জীবনসঙ্গী কারো বাবা কিংবা কারো সতীর্থ বা…

অনেকদিন কোথাও বেরোন হয়নি অফিসের গ্রুপ নিয়ে, তাই মনটা কেমন ছুটি ছুটি করছিল, কিন্ত গন্তব্যটা কিছুতেই ঠিক হচ্ছিল না।  কেউ বললেন জলঢাকা, কেউ বললেন ঝান্ডি- আমি তখন চটকপুর এর প্রসঙ্গ তুলি। আমি আগে একবার চটকপুর গিয়েছিলাম, খুব ভাল লেগেছিল, কিন্তু রাত্রিবাস করা হয়নি। সবাইকে রাজি করানো খুব কঠিন হল না,…

      কিছুদিন থেকেই ইউনিভার্সিটি  থেকে বাড়িতে ফিরতে ঝিনুক দেরী করছিল। যদিও দেরী করাটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। সেমিনার চলছে। বিকেলের দিক থেকেই প্রায় প্রতিদিন আকাশ কালো করে মেঘ জমছিল, কিন্তু বৃষ্টি টা হব হব করেও হচ্ছিল না। সেদিনই যে হঠাৎ অমন করে শহর ভাসিয়ে ঝোড়ো  হাওয়ার সাথে বৃষ্টি নামবে…

      আজ পৃথিবী নবীন তবে রবির কিরণ পড়ছে এসে। দিনের শুরু উনুন দিয়ে পতিত চা- এর অংশ হয়ে। ইট ভাটার ঐ চুল্লি থেকে কাপড় কাচার ধোপার কাছে। সকল মানুষ স্বার্থ বোঝে ভুলে যায় আজ আমায় তবে। শিশু বলে নগ্ন চোখে দেখছে মানুষ চারিদিকে। দিন যে কাটে ভয়ে ভয়ে…

  Rhyme, beloved, my music with your curse, my thoughts with your sickness, In your world I sought hope, and in your heart I found solace. Your eyes were but eyes of virtue, that now prowl some toxic greenery, Crawling like a snake into your nerves, leaving you comatose, Blameless…

      কোন ‘স’ এর নীচে ‘ব’ বলতে পারাটাই প্রথম ধাপ, ভাবি বসে আজও, চাঁদা পাওয়াটা ছিল কি দারুন চাপ! এরপরেও ধেয়ে আসত আরও কত প্রশ্ন বাণ, প্রস্তুত থাকতাম সবাই রাখতে নিজ সম্মান।   হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা সংঘ কিংবা দল, বিবেক, রবি, নেতাজী নামেতেই ছিল বেশী চল, আগে…

      তোমার জন্য অপেক্ষা ক্ষনিকের হৃদস্পন্দন, খানিকটা ভয় পাওয়া আনন্দ পূর্বরাগ-অনুরাগ পর্ব আর অনেক অনেক জমানো কথা।   তোমার জন্য ডায়েরীর পৃষ্ঠার ভাঁজে রেখে দেওয়া শুকনো লাল গোলাপ একটা, অনুভবের প্রথম শিহরণে রাঙানো। যখন মনে একটু একটু দোলা লেগেছিল- তবে থেকে,   তোমারই জন্য ওগো বন্ধু- জমানো আছে…

      ফেব্রুয়ারি মাস পড়লেই দৈনন্দিন জীবনের ব্যাকগ্রাউন্ডটা কেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যেন হলুদ সর্ষে ক্ষেতে পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং ম্যান্ডলিনের সুরটা বেজে ওঠে। চারিদিকে প্রেম-প্রেম ভাব, লাল গোলাপের সমাগম। আমারও তাই প্রেম পেয়ে গেল। প্রেম নিয়ে দু-চার কথা।   প্রেম ও চরিত্র। শব্দ দুটো সাবলীল, নিজস্ব আত্মমর্যাদা রয়েছে এবং পরস্পরের…

    ‘আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো’- এই গানটা গাইলে সুমির মনে কত কি  যে ঘোরাফেরা করে তা আজ অবধি উত্তর পাওয়া হলো না তার। আর পাবেই বা কি করে? সে বড় চুপচাপ, নাকি গোমড়ামুখো! নাহ্, আজ আর গান গাইতে ইচ্ছে করছে না তার, ‘বাতাসে বহিছে…

      শেষবেলার আলো ছুঁয়ে আছে ধূসর পাতাটি, শিশির বিন্দু বুকে বিষাদের কালোছায়া যেন সে আড়াল করেছে।   আজও এক নতুন সকাল, হিমেল বাতাস বয়ে বার্তা এনেছে — আসন্ন বিষণ্ণবেলা। অসবুজ দেহভারে কী মলিন পান্ডুরতা ছুঁয়ে আছে তাকে !   বিগত দিনের স্মৃতিগুলি আজ তাকে ডাকে, বনবীথির অঙ্গনে, কাকলি…

  হাসিমুখের মুখোশ চাপিয়ে সারাদিন চলে যায় কোনো রকমে… সবার মাঝে আমি তখন দমদেওয়া কলের পুতুলের মত কথা বলি – হাসি -কাজ করি কাজ করি -হাসি – কথা বলি। সন্ধ্যা নামলেই মুখোশটা জোর করে ছেড়ে চলে যায় আমাকে নিঃসঙ্গ করে, নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতেও বড্ড ভয় করে তখন সব প্রশ্নের উত্তর…

  বহুদিন বৃষ্টি দেখি নি, তাই গলার কাছে কান্নাগুলো জমাট বাঁধে উত্তরোত্তর। অসহ‍্য অভিমানে বৃষ্টি না পড়লে আমি কাঁদতে পারি নি কখনো। জংধরা শিক বেয়ে নেমে আসে শীতকাতুরে রৌদ্র। কালচে সবুজ মনখারাপের স‍্যাঁতস‍্যাঁতানি আচারের তেলের মত মজতে মজতে একসময় শুকিয়ে খটখট করে। গুমোট গরমে আকাশে পরতে পরতে জমতে থাকা মেঘের…

  “এ কি রে বাবিন! কি করেছিস এটা? পুরো ঘরে আলমারির জামা কাপড় ছড়ানো ছিটানো কেন? মায়ের কাজ বাড়াতে খুব ভালোবাসিস, তাই না? দাঁড়া আজ তোর হচ্ছে!” — “মা আমি সেই হলুদ রঙের পাঞ্জাবিটা খুঁজছিলাম, যেটা দাদা গত বছর পুজোর সময় কিনেছিল। প্লিজ মা পাঞ্জাবিটা খুঁজে দাওনা। ওটা আমার চাই-ই…